গোয়ালতোড়ের ধরমপুরে দলছুট হাতি। ছবি: বন দফতরের সৌজন্যে।
মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনও হাতি রয়েছে এমন জঙ্গল এলাকায় নজরদারি চালাবে বন দফতর। গাড়ি নিয়ে জঙ্গলপথে টহল দেবেন বনকর্মীরা। থাকবে হুলাপার্টি। সেই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের হাতে জলের বোতল, কলম, চকোলেট তুলে দেবে বন দফতর।
আজ, শুক্রবার শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। বৃহস্পতিবারই গোয়ালতোড় ও গড়বেতা ব্লক এলাকায় প্রস্তুতি সেরে নেন বনকর্মীরা। কোথায় কত গাড়ি থাকবে, কে কোথায় দায়িত্বে থাকবেন, সেই চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে বন দফতর। দফতরের রূপনারায়ণ ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন গোয়ালতোড় (গড়বেতা ২) ব্লক এলাকার জঙ্গলে ৩টি হাতি ঘোরাঘুরি করছে। আর ৬-৭ টি হাতি গোয়ালতোড় ও লালগড়ের সীমানার জঙ্গলে রয়েছে। গড়বেতা ১ ব্লকের বাঁকুড়া সীমানার জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে ১৪টি হাতি, সেগুলিও যে কোনও সময় গড়বেতা-আমলাগোড়ার দিকে চলে আসতে পারে।
এই আবহে উচ্চ মাধ্যমিক। এই ডিভিশনের এক বনকর্তা বলেন, ‘‘গোয়ালতোড় ও গড়বেতায় হাতির নির্দিষ্ট গন্তব্য অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে ৩-৪টি। সেই কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষা দেবেন জঙ্গল সংলগ্ন ১৫-১৬টি গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা। হাতি থাকা জঙ্গল রাস্তায় হুলাপার্টিকে নিয়ে বনকর্মীরা সকাল থেকেই টহল দেবেন। প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের গাড়িতে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেও দেওয়া হবে। ২-৩টি করে গাড়ি থাকবে প্রতি রেঞ্জে।’’ রূপনারায়ণ ডিভিশনের ডিএফও শিবানন্দ রামেরও বক্তব্য, ‘‘মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও জঙ্গলপথে টহল দেওয়া হবে। তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পরীক্ষার আগে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে জলের বোতল, কলম, চকোলেট দেবে বন দফতর। মেদিনীপুর ডিভিশন থেকেও একই ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীন হাতিদের আনাগোনা আছে এমন জঙ্গলপথে টহল দেওয়া হবে। চন্দ্রকোনা রোডের নয়াবসত রেঞ্জ এলাকা মেদিনীপুর ডিভিশনের মধ্যে পড়ে। এই রেঞ্জেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার দিন খুব সকাল থেকেই গাড়ি ও হুলাপার্টি নিয়ে বন পথে পাহারায় থাকবেন এই রেঞ্জের বনকর্মীরা। জঙ্গলপথে রুটচার্ট তৈরি করে নিয়েছে বন দফতর। ছোট ছোট দলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। বিট অফিসগুলোকে হাতিদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। থাকছে হাতি তাড়ানোর গাড়ি ‘ঐরাবত’ও। জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের সমন্বয় রাখছেন রেঞ্জ ও বিট অফিসের কর্মীরা। এক রেঞ্জারের কথায়, ‘‘পরীক্ষার সময় হাতির উৎপাত যাতে না বাড়ে সেই প্রার্থনা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy