জেলার গুরুত্বপূর্ণ ১০টি রাস্তা দেখভালের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চায় জেলা পরিষদ। রাস্তাগুলো তারা পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দিতে চায়।
জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। জেলা পরিষদের আশা, শীঘ্রই রাস্তাগুলোর দায়িত্ব নেবে পূর্ত দফতর। জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “জেলার দশটি রাস্তা দেখভালের দায়িত্ব পূর্ত দফতরকে দেওয়া হবে। সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।”
কিছু দিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা পরিষদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকেও জানানো হয় রাস্তা হস্তান্তরের কথা। কেন এই সিদ্ধান্ত? জেলা পরিষদের এক কর্তা বলেন, “পূর্ত দফতরের হাতে থাকলে রাস্তাগুলোর নিয়মিত দেখভাল হবে। প্রয়োজনে দ্রুত মেরামত হবে। জেলা পরিষদ সব সময় দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করতে পারে না। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে জেলা পরিষদকে কাজ করতে হয়।’’
জেলা পরিষদের আর্জিতে সাড়াও দিচ্ছে পূর্ত দফতর। যে দিন সভাধিপতি পূর্তমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন, ঠিক তার পরদিনই পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্ল্যানিং) শৈবালবাবুকে চিঠি পাঠিয়েছেন। রাস্তাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন। শৈবালবাবু বলেন, “যা যা জানতে চাওয়া হয়েছে, সব কিছুই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
জঙ্গলমহলের এই জেলায় বেশ কিছু রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ। গর্তে গাড়ির চাকা ঢুকে দুর্ঘটনাও ঘটে। রাস্তা সংস্কার হয় বটে। তবে বছর ঘুরতে না-ঘুরতে ফের সেই জীর্ণ-পথ। জেলার এক পূর্ত কর্তাও মানছেন, “এক-দু’টো বর্ষা পেরোলে জল জমে কিছু রাস্তা খারাপ হয়ে যায়।’’ পূর্ত দফতরের হাতে গেলে দ্রুত রাস্তা সংস্কার হবে বলেই আশা।
এই দশটি রাস্তা হস্তান্তর করতে চেয়ে আগেও পূর্ত দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এ ব্যাপারে জেলা পরিষদে আলোচনা হয়। তখন কাজ বেশি দূর এগোয়নি। তবে এ বার কাজ দ্রুত গতিতে এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy