Advertisement
E-Paper

তিনগুণ বেশি বরাদ্দ পশ্চিমে

এ বার ঝাড়গ্রামে এসে প্রশাসনিক বৈঠকে পশ্চিমাঞ্চলের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১১

চলতি আর্থিক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে চলেছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে ইতিমধ্যে জেলার জন্য ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আরও ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হতে চলেছে। বরাদ্দের পরিমাণ গত বছরের থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি। বরাদ্দ অর্থে ঠিক কী কী কাজ হবে তার প্রাথমিক পরিকল্পনাও হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য আগে কখনও এত টাকা বরাদ্দ হয়নি।” তাঁর কথায়, “পর্ষদ থেকে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, তার বেশিরভাগের ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ (ইউসি) সময়ের মধ্যে এসে গিয়েছে। তা পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। সব দিক দেখে ফের অর্থ বরাদ্দ করতে চলেছে পর্ষদ।” জেলা প্রশাসনের ওই আধিকারিক বলেন, “বরাদ্দ অর্থে অনেকগুলো প্রকল্প রূপায়িত করা সম্ভব হবে। এরফলে, জেলার উন্নয়ন আরও এগোবে।”

প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ২০১৬- ’১৭ আর্থিক বছরে ব্লকপিছু ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। ২০১৫-’১৬ আর্থিক বছরে ব্লকপিছু ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। চলতি আর্থিক বছর অর্থাৎ, ২০১৭-’১৮ তে ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আরও ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হতে চলেছে। সবমিলিয়ে বরাদ্দের পরিমাণ ৬০ কোটি টাকা।

জেলার ১০টি ব্লক পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের এলাকার আওতাধীন। এরমধ্যে মেদিনীপুর সদর মহকুমার ৬টি, খড়্গপুর মহকুমার খড়্গপুর-১ ও ২, নারায়ণগড় ও কেশিয়াড়ি- এই ৪টি ব্লক রয়েছে। পর্ষদের বরাদ্দকৃত অর্থে রাস্তা নির্মাণ, সেতু নির্মাণ, পার্ক তৈরি-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও করা হয়। শুরুতে ব্লক স্তরে পরিকল্পনা হয়। পরে সেই খসড়া পরিকল্পনা জেলায় আসে। সব দিক দেখে জেলায় পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। পর্ষদের কাজকে বরাবরই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই দফতরের গুরুত্ব অনেক। বিশেষ করে জঙ্গলমহলের ক্ষেত্রে।

এ বার ঝাড়গ্রামে এসে প্রশাসনিক বৈঠকে পশ্চিমাঞ্চলের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। ধমকও দেন কয়েকজন আমলাকে। পরে সমন্বয় বাড়াতে বৈঠকে বসে পর্ষদ। ঝাড়গ্রামের উন্নয়নের কাজে তিনি যে সন্তুষ্ট নন তা শুরুতেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। পর্ষদের বরাদ্দকৃত অর্থে পশ্চিম মেদিনীপুরে অবশ্য কাজের গতি সন্তোষজনক বলে প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “সার্বিক ভাবে জেলায় কাজের গতি ভাল। যে প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে সেগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। অনেক বড় প্রকল্পও আছে। আবার অনেক ছোট প্রকল্পও আছে।”

West Midnapore Allocation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy