Advertisement
E-Paper

বধূর দেহ উদ্ধার, ধৃত স্বামী-সহ ৩

এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতার নাম কেয়া সামন্ত (২৬)। রবিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনা থানার ভগীরথপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০

এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতার নাম কেয়া সামন্ত (২৬)। রবিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনা থানার ভগীরথপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পঠিয়েছে। ধৃতদের সোমবার ঘাটাল আদলতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে কেশপুর থানার কাঁঠালবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কেয়ার সঙ্গে সুজন সামন্তর বিয়ে হয়। সুজন পেশায় হিমঘরের কর্মী। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবি-সহ নানা কারণে কেয়ার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত। তাতে মদত ছিল সুজনেরও। প্রায়শই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য কেয়াকে চাপ দিতেন শ্বশুর রণজিৎ সামন্ত ও শাশুড়ি প্রতিভা সামন্ত। প্রতিবাদ করলেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইদানীং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত সুজন। শীতের রাতে একাধিকবার কেয়াকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই কেয়ার শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। তারপর ওইদিন সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতেই কেয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার বাবা নেপালচন্দ্র ঘোষের অভিযোগ, “শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। পুলিশে বিষয়টি জানিয়েছি।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা, তা মৃতদেহের ময়না তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে।

Wife Dead body Husband Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy