অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ছাত্রভর্তিতে অনলাইন পরিষেবা চালু হলে স্বচ্ছতা আসবে। এড়ানো যাবে অশান্তিও। বুধবার সন্ধেয় হলদিয়ার ব্রজনাথচকে একটি বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের উদ্বোধনে এসে এমনটাই বললেন শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এ বার প্রতিটি কলেজে ছাত্রভর্তিতে অনলাইন সিস্টেম চালু হবে।” শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি রুখতে অনলাইন পরিষেবা চালুর সঙ্গেই খাগড়াগড় থেকে সারদা, নানা বিষয়ে বিজেপি-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে বিঁধলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গত সাড়ে তিন বছরে রাজ্য সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে কী কী উন্নয়ন মূলক কাজ করেছে তার ফিরিস্তিও দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ৩১টি সরকারি এবং ৮টি বেসরকারি কলেজ চালু করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের সরকারে আসার আগে পর্যন্ত মাত্র দু’টি সরকারি কলেজ হয়েছিল। আমরা এসে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৮টি সরকারি। বিএড বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। ২১৯টি জুনিয়ার হাইস্কুল হয়েছে। ১,৩৬০টি মাধ্যমিক স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হয়েছে। ৬ হাজার নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে।” দু’কিলোমিটার অন্তর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চার-পাঁচ কিলোমিটার অন্তর মাধ্যমিক স্কুল করার চেষ্টা চলছে, মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর।
এ দিন ব্রজনাথচকে স্কুলের উদ্বোধনে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা। শিক্ষা-সম্পর্কিত কোনও প্রশ্ন থাকলে মন্ত্রীকে তা করতে বলা হয়। কেউ বলেন, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে কোনও কর্মশালা হয়নি। এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে শিক্ষকতা করছি। কিন্তু, এখনও বেসিক ট্রেনিং হয়নি। পরে চাকরি পেয়েও অনেকের ট্রেনিং হয়ে গিয়েছে।’ পার্থবাবু বিষয়গুলি দেখবেন জানিয়ে বলেন, “লিখিত ভাবে শিক্ষা দফতরে বক্তব্যগুলি জানান। খতিয়ে দেখা হবে, আশ্বাস দিচ্ছি।”
তৃণমূলের কেউ খাগড়াগড় কিংবা সারদার সঙ্গে যুক্ত নন, ফের এই দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত এ দিন উদ্বোধন হওয়া বেসরকারি স্কুলটির সম্পাদক হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল। সেখান থেকে তিনি হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী মোড়ে ক্ষুদিরাম জন্মোাত্সব ও ক্ষুদিরাম মেলার উদ্বোধন করেন। ছিলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy