Advertisement
১৭ মে ২০২৪

আত্মঘাতী লগ্নি সংস্থার এজেন্ট

বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার এক এজেন্টের অপমৃত্যু হল নন্দকুমারে। সোমবার সকালে কুমরআড়া পঞ্চায়েতের মান্দারগেছিয়া গ্রামে বাড়িতেই কীটনাশক খান পঞ্চানন পাল (৫৫)। তাঁর পরিজনদের দাবি, এ দিন পঞ্চাননবাবু নিজেই কীটনাশক খাওয়ার কথা স্বীকার করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। টাকা ফেরানোর জন্য আমানতকারীদের চাপের মুখেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মৃত পঞ্চানন পাল। নিজস্ব চিত্র।

মৃত পঞ্চানন পাল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০১:০৮
Share: Save:

বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার এক এজেন্টের অপমৃত্যু হল নন্দকুমারে। সোমবার সকালে কুমরআড়া পঞ্চায়েতের মান্দারগেছিয়া গ্রামে বাড়িতেই কীটনাশক খান পঞ্চানন পাল (৫৫)। তাঁর পরিজনদের দাবি, এ দিন পঞ্চাননবাবু নিজেই কীটনাশক খাওয়ার কথা স্বীকার করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। টাকা ফেরানোর জন্য আমানতকারীদের চাপের মুখেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পঞ্চাননবাবু আগে নন্দকুমার বাজারে মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। তাঁর দুই মেয়ে ও একটি ছেলে। মিষ্টির দোকানে কাজের পাশাপাশি বছর তিনেক আগে তিনি ‘বেসিল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে এক অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট হিসেবে আমানতকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। ৭০ জনের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন তিনি। গত বছর সারদা-কাণ্ডের পর থেকে ওই লগ্নি সংস্থার অফিস বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, এরপরেই আমানতকারীরা ওই লগ্নি সংস্থায় জমা দেওয়া টাকা ফেরতের জন্য পঞ্চাননবাবুকে চাপ দিতে থাকেন।

পঞ্চাননবাবুর ছেলে বিনয় বলেন, “কয়েকমাস আগে কয়েকজন আমানতকারী নন্দকুমার বাজারে বাবাকে মারধর করেছিল। তারপর থেকে বাবা আর নন্দকুমার বাজারে যেতেন না।” বছরখানেক আগে নন্দকুমার বাজারে মিষ্টির দোকানের কাজ ছেড়ে তমলুক শহরের মিষ্টির দোকানে কাজে যোগ দিয়েছিলেন পঞ্চাননবাবু। মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা বেতন পেতেন। বিনয় জানায়, রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ বালিসীতা গ্রামের তিন জন আমানতকারী বাড়িতে এসে পঞ্চাননবাবুর কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয়। মৃতের স্ত্রী কনকলতাদেবী জানান, পঞ্চাননবাবু কাজের জন্য সোমবার সকাল ৫টা নাগাদ বেরিয়েছিলেন। সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ি ফিরে এসে বিছানায় শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে ঘরে ঢুকে তিনি কীটনাশকের গন্ধ পান। কনকলতাদেবী বলেন, “আমি ওকে কিছু খেয়েছে কিনা জানতে চাইলে ও কান্নায় ভেঙে পড়ে বিষ খাওয়ার কথা জানায়।” গুরুতর অসুস্থ পঞ্চাননবাবুকে এরপর তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।

মান্দারগেছিয়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম সামন্ত বলেন, “পঞ্চাননবাবু এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। উনি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে জানি। তবে কোনও ঝামেলার বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

suicide agent of chit fund agent tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE