Advertisement
১৯ মে ২০২৪

কংগ্রেস অফিস মানসের, সবংয়ে শুরু চাপানউতোর

কংগ্রেসের ব্লক কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল সবংয়ে বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার অনুগামী তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ওই কার্যালয় দখল হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, দেওয়ালে ‘ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়’ লেখা মুছে ‘বিধায়ক মহাশয়ের জনসংযোগ কার্যালয়’ লিখে দেওয়া হয়েছে।

দেওয়ালে লেখা বিধায়কের কার্যালয়। বাইরে অবশ্য কংগ্রেসের পতাকা।—নিজস্ব চিত্র।

দেওয়ালে লেখা বিধায়কের কার্যালয়। বাইরে অবশ্য কংগ্রেসের পতাকা।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩১
Share: Save:

কংগ্রেসের ব্লক কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল সবংয়ে বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার অনুগামী তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ওই কার্যালয় দখল হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, দেওয়ালে ‘ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়’ লেখা মুছে ‘বিধায়ক মহাশয়ের জনসংযোগ কার্যালয়’ লিখে দেওয়া হয়েছে। ভেতরে অবশ্য ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধীর ছবি থেকে কংগ্রেসের ‘হাত’ চিহ্ন , এমনকী বাইরে কংগ্রেসের পতাকাও এক জায়গায় রয়েছে।

এত দিন সবংয়ের ওই ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়েই আনাগোনা ছিল মানসবাবু এবং অমল পণ্ডা, আবু কালাম বক্স, স্বপন মাইতির মতো কংগ্রেস নেতাদের। এখন সকলেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার পরেও সবং কংগ্রেসের বাকি কর্মীরা ওই কার্যালয় ব্লক কংগ্রেসের বলেই দাবি করেছিলেন। এমনকী তৃণমূলে আসার পরেও অমল পণ্ডা জানিয়েছেন, ওই অফিসের জমির মালিক কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির। সোমবার সবংয়ে এসে অবশ্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিধায়ক মানসবাবু। সেখানে বসে ৪০ জন রোগীও দেখে ছিলেন সবংয়ের ডাক্তারবাবু। তারপরই এই কার্যালয় দখলের অভিযোগ। যদিও এ দিন অমলবাবু বলেন, “ওই কার্যালয় কংগ্রেসের বলেই জানি। কে বা কারা তা দখল করেছে জানা নেই।’’ মানস-অনুগামী দলত্যাগী নেতা আবু কালাম বক্স যদিও কার্যালয় দখলের কথা মানছেন। তাঁর যুক্তি, “ব্লকের সবাই এখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। তাই মানস ভুঁইয়ার হাতে গড়া এই কার্যালয় আমরা দখল নিয়েছি।’’

পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থেকে কলকাতা ফেরার পথে এ দিন সবংয়ে এসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তেমাথানির কংগ্রেস কার্যালয়ের বাইরে বেশ কয়েকজন কর্মী তাঁকে মালা পরিয়ে স্বাগত জানান। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। তাঁরা সবংয়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নেন। পরে কার্যালয় দখল অধীরবা বুবলেন, “মানস ভুঁইয়া যে দলেই থাকুন শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর থেকে রাজনৈতিক ভদ্রতা আশা করেছিলাম। তাঁর এই দখলের রাজনীতির প্রতিবাদ করছি।’’

মানসবাবুর পাল্টা দাবি, “ওই কার্যালয় কোনও দিন কংগ্রেসের ছিল না। ২০০১সালে আমি নিজের টাকায় ওই জমি কিনে কার্যালয় গড়েছিলাম। ওখানে বসেই বিধায়কের কাজ করি। আগামী দিনেও করব। এখানে সিপিএম, কংগ্রেস সব দলের লোক এসেছেন। ভবিষ্যতেও আসতে বাধা নেই। অধীরবাবু সবং ও পশ্চিম মেদিনীপুরে এসে মায়া কান্না না কেঁদে নিজের মুর্শিদাবাদ সামলান।’’

এ দিন সকাল থেকে ওই কার্যালয়ে কোনও কংগ্রেস কর্মীর দেখা মেলেনি। কিন্তু কংগ্রেস এর প্রতিবাদ করছে না কেন? দলের জেলা সহ-সভাপতি জয়ন্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘ওই কার্যালয়ের ১৭ ডেসিমেল জমির মালিক কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। গায়ের জোরে তা দখল করে মানস ভুঁইয়ার জনসংযোগ কার্যালয় করা হয়েছে। এটা হবে না। আমরা আইনের পথে লড়াই করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

congress party office
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE