পর্ষদের জমির একাংশ বেদখল হয়ে গিয়েছিল। সেই জমিই বুধবার দখলমুক্ত হল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তাদের উপস্থিতিতে এ দিন সকাল থেকে জমি জরিপের কাজ শুরু হয়। মাপজোক করে পর্ষদের জমির সীমানা নির্ধারণও করা হয়। এরপর সীমানা এলাকায় খুঁটি পোঁতা হয়। এই জমিতেই পর্ষদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কার্যালয় গড়ে ওঠার কথা। এ দিন মেদিনীপুরে এসেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও। বেআইনি দখল উচ্ছেদ ঘিরে অবশ্য অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা ঘটেনি। পর্ষদের মনিটরিং কমিটির কনভেনর (মেদিনীপুর) নির্মলেন্দু দে বলেন, “সুষ্ঠভাবেই সীমানা নির্ধারণের কাজ হয়েছে। সীমানা এলাকায় খুঁটি পোঁতা হয়েছে। কোনও রকম অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।” একই মত মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্তর। তাঁর কথায়, “সরকারি জায়গা জবরদখল করে রাখা বেআইনি। এ ক্ষেত্রে সুষ্ঠ ভাবেই সব হয়েছে।”
মেদিনীপুরে সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ নতুন নয়। অরবিন্দনগর, রাঙামাটি-সহ বেশ কিছু এলাকায় একরের পর একর সরকারি জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বসতি। শহরের অরবিন্দনগরের সরকারি জমির একাংশ বহু দিন ধরেই বেদখল হয়ে রয়েছে। জমিটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এই জমির একাংশেই গড়ে ওঠার কথা রবীন্দ্র ভবন নামে নতুন একটি প্রেক্ষাগৃহ। এ জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ৩.৭৫ একর জমি তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে হস্তান্তর করার কথা ছিল। তবে একাংশ স্থানীয় মানুষের আপত্তিতে জমি হস্তান্তরের কাজ হয়নি। প্রশাসন আশাবাদী, দ্রুতই জমি-জট কাটবে। রাঙামাটিতে প্রায় তিন একর জমি অবশ্য আগেই পর্ষদকে হস্তান্তর করা হয়। এখন কেরানিতলায় একটি ভাড়া বাড়িতে পর্ষদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। রাঙামাটির এই জমিতেই গড়ে ওঠার কথা পর্ষদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়।
একের পর এক অস্থায়ী বাড়ি তৈরির পর দেখা যায়, এখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে প্রায় তিন একর জায়গা রয়েছে, তারও একাংশ বেদখল হয়ে গিয়েছে। পর্ষদের জায়গায় কয়েকটি বাড়ি তৈরি হয়েছে। এরপরই এই জায়গার দখল ফিরে পেতে তৎপর হন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি পুলিশ- প্রশাসনকে জানানোও হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, যাঁরা জমি দখল করেন, তাঁরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী- সমর্থক বলেই পরিচিত। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। বুধবারও তৃণমূলের মেদিনীপুর শহর সভাপতি তথা জেলার অন্যতম কার্যকরী সভাপতি আশিস চক্রবর্তী বলেন, “সব ঘটনায় দলকে জড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। সরকারি জায়গা কোনও ভাবেই জবরদখল করে রাখা যায় না। সরকারি জমি দখল হলে তো প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করে।” তাঁর কথায়, “এ দিন তো পর্ষদের জায়গার সীমানা নির্ধারণ, মাপজোক সমস্ত কিছু সুষ্ঠ ভাবেই হয়েছে। কোনও রকম অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy