Advertisement
E-Paper

খন্দপথে যাতায়াত, ক্ষতি মৎস্যজীবীদেরও

খানা-খন্দে জীর্ণ ন’কিলোমিটার রাস্তা। কাঁথি-১ ব্লকের সাবাজপুট, নয়াপুট গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশের মানুষের কাছে কাঁথি শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তা দীর্ঘদিন খারাপ থাকায় সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:২৫
খানাখন্দে বেহাল কাঁথি-শৌলা রাস্তা। ছবি: সোহম গুহ।

খানাখন্দে বেহাল কাঁথি-শৌলা রাস্তা। ছবি: সোহম গুহ।

খানা-খন্দে জীর্ণ ন’কিলোমিটার রাস্তা।

কাঁথি-১ ব্লকের সাবাজপুট, নয়াপুট গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশের মানুষের কাছে কাঁথি শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তা দীর্ঘদিন খারাপ থাকায় সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এই রাস্তার ধারেই রয়েছে নয়াপুট হাইস্কুল, ব্যাঙ্ক, নয়াপুট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, প্রাথমিক উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও শৌলা মৎস্য খটি (মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র)। ফলে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ সাইকেল, ভ্যান রিকশা, ম্যাজিক ভ্যানে করে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। শৌলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মাছ কেনাবেচার জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ বোঝাই লরিও এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে মৎস্যজীবীরাও। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল বলেন, “জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই রাস্তার সংস্কারে দু’কোটি তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”

দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শ্যামলের অভিযোগ, “রাস্তা খারাপ হওয়ায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে ঠিক সময়ে কাঁথি ও কলকাতার বাজারে মাছ নিয়ে যেতে প্রচুর সময় চলে যায়। সঠিক সময়ে মাছ বাজারজাত না করতে পারায় মৎস্যজীবীদেরও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।” তাঁর দাবি, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ব্লক প্রশাসন-সহ বিভিন্ন মহলে জানানো হয়েছে। মৎস্য দফতরের সহ-মৎস্য অধিকর্তার দফতরেও রাস্তাটি মেরামতির জন্য দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নয়াপুট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বসন্তকুমার ঘোড়াইয়ের অভিযোগ, “প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করেন। স্কুলের দু’হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী ও প্রায় ৭০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাও প্রতিদিন মোটর সাইকেল ও ট্রেকারে করে যাতায়াত করে থাকেন। প্রায়ই সাইকেলে করে যাতায়াত করার সময় খন্দপথে ছাত্রছাত্রীদের দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হচ্ছে।” রাস্তাটির বেহাল দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারাও। বাঁকাবেড়িয়া গ্রামের কাবুল জানা, নয়াপুটের আশামুকুল করণের কথায়, “বেহাল এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।”

সিপিএম পরিচালিত নয়াপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীণা গিরি বলেন, “এলাকাবাসীরা প্রতিদিন রাস্তাটি নিয়ে তাঁদের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে অভিযোগ করছেন। কিন্তু এই রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি পুরোপুরি কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির এক্তিয়ারভুক্ত। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একাধিকবার পঞ্চায়েত সমিতিকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সংস্কার কাজ হয়নি। এব্যাপারে আমরা নিরুপায়।” কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মৃন্ময় পণ্ডা জানান, সম্প্রতি জেলা পরিষদ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। শীঘ্রই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।”

kanthi potholes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy