ডেবরায় মানস ভুঁইয়ার প্রচার। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিপক্ষকে সচরাচর তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন না। তবে জোট ভাঙার দায়ে তৃণমূলকে ‘গদ্দার’ বললেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বালিচকে দলীয় কর্মিসভায় তৃণমূলকে আক্রমণ করে মানসবাবু বলেন, “২০১১ সালের ২০ মে মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ আর ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বললেন, টা টা। এটা বেইমানি, গদ্দারি।”
ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ডেবরা, পিংলা ও সবং বিধানসভা এলাকার কংগ্রেসের কর্মিসভায় এ দিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মানসবাবু। তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “পাঁচ বছর জোট বেঁধে কাজ করার কথা বলেছিল তৃণমূল। আর ক্ষমতা পাওয়ার ১ বছর ৪ মাসের মাথায় জোট ভেঙে বেরিয়ে গেল। সাধারণ ভাষায় এটাকে বলে, বেইমানি, গদ্দারি। মানুষের সঙ্গে ওরা বেইমানি করেছে।”
মানসবাবুর বক্তব্য জানার পরে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, তৃণমূল মানুষের কল্যাণে কাজ করে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার জনস্বার্থবিরোধী কাজ করেছিল বলেই আমরা কংগ্রেসের জোট ভেঙে বেরিয়ে এসেছি। তৃণমূল মানুষের সঙ্গে থাকে বলেই আমরা মানসদের টা টা করেছি।”
তৃণমূলকে তুলোধনা করলেও তাদের প্রার্থী দেবের বিরুদ্ধে একটি শব্দও খরচ করেননি মানসবাবু। নিজেকে ‘ভূমিপুত্র’ বলে তাঁর বক্তৃতার শুরুতে কর্মীদের উদ্দেশে মানসবাবু বলেন, “আমি আপনাদের ঘরের ছেলে। এতদিন আমি নেতৃত্ব দিয়েছি আপনাদের। এ বার আপনারা নেতৃত্ব দিয়ে আমাকে সামনে এগিয়ে দেবেন।” কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তুলনা টেনে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কাজের সমালোচনা করেন তিনি। মানসবাবু বলেন, “২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে এক বিন্দু রক্ত ঝরেনি। ২০১৩ সালে পরিবর্তনের সরকারের আমলে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ৬০ জন মারা গিয়েছে।”
এ দিন বালিচক সিনেমা হল থেকে ডেবরা থানা পর্যন্ত একটি পদযাত্রাও করে কংগ্রেস। সেই পদযাত্রায় ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, প্রাক্তন জেলা সভাপতি স্বপন দুবে প্রমুখ। এ দিন ঘাটাল শহরেও একটি কর্মিসভা করেন মানসবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy