জটিলতার জেরে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে শ্লথ গতিতে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করে সেই সব প্রকল্পের কাজে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা মনিটরিং কমিটির বৈঠকে। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে আয়োজিত এই বৈঠকে হাজির ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতি, দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সুদীপ সেন প্রমুখ। বৈঠক শেষে সুদীপবাবু বলেন, “জেলায় যে সব জল প্রকল্পের কাজ চলছে, সেই সব প্রকল্পগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে, মৃগেনবাবু বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করার কথা বলেছি। কিছু ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯টি ব্লকের মধ্যে ১১টিই জঙ্গলমহল এলাকার অন্তর্গত। জেলায় পানীয় জলের সমস্যা নতুন নয়। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় জলস্তর ক্রমেই নীচে নামছে। সমস্যা বেশি পরিস্রুত জলের জোগান নিয়েই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অবশ্য দাবি, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আরও বেশি সংখ্যক জলাধার তৈরি করে এলাকায় এলাকায় নলবাহী পানীয় জল প্রকল্প রূপায়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে জলাধার তৈরি করা হবে। পাম্প চালিয়ে জলাধারে জল তুলে তা পাইপের মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় সরবরাহ করা হবে। ইতিমধ্যে জেলায় বেশ কিছু জল প্রকল্পের কাজ চলছে। যে সব প্রকল্পের কাজ চলছে, এদিন মূলত সেই সব প্রকল্পের পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়। আলোচনায় উঠে আসে ধেড়ুয়া, বড় সুখজোড়া প্রভৃতি প্রকল্পের কথাও। বেশ কিছু প্রকল্পের গতি শ্লথ জেনে অসন্তুষ্ট হন চেয়ারম্যান। দফতরের কর্তারা অবশ্য জানান, কিছু জটিলতার জন্যই কাজ স্বাভাবিক গতিতে এগোনো যাচ্ছে না। পাম্প অপারেটর নিয়োগ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “কিছু প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হবে। প্রকল্পগুলো চালু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। আগামী দিনে নতুন প্রকল্পেরও প্রস্তাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy