Advertisement
E-Paper

তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার নালিশ

ফের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি, কাজে বাধার অভিযোগ! ঘটনাস্থল এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া। এলাকার কলেজ ভবন তৈরিতে নিযুক্ত ঠিকাদারের থেকে মোটা অঙ্কের ‘তোলা’ চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপ প্রধান কুরবান শাহের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই ঠিকাদার পাঁশকুড়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:১৬

ফের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি, কাজে বাধার অভিযোগ! ঘটনাস্থল এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া।

এলাকার কলেজ ভবন তৈরিতে নিযুক্ত ঠিকাদারের থেকে মোটা অঙ্কের ‘তোলা’ চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপ প্রধান কুরবান শাহের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই ঠিকাদার পাঁশকুড়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তোলাবাজিতে অভিযুক্ত উপ প্রধান আবার ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বালি তুলে নেওয়ার পাল্টা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে পাঁশকুড়ার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মাইশোরা এলাকায় বালি তোলায় বাধা দেওয়া ও ভবন তৈরির কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চাওয়া নিয়ে ওই উপ-প্রধান-সহ চার, পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা গ্রামে সিদ্ধিনাথ মহাবিদ্যালয় নামে নতুন কলেজ চালু হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় এক স্কুলে ওই কলেজের ক্লাস চলছে। নতুন কলেজের ভবন নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু হয়। নতুন কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য এলাকার বাসিন্দারাই জমি দান করেছেন। প্রস্তাবিত কলেজ ভবনের ওই জমির মাটি ভরাট করার কাজে স্থানীয় মাইশোরা গ্রামের কাছে কাঁসাই নদীর খাত থেকে বালি তোলার অনুমতি নেন কাজের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ঠিকাদার সংস্থা। লরিতে ওই নদী খাত থেকে বালি তুলে তা ফেলা হচ্ছিল প্রস্তাবিত কলেজ ভবনের চত্বরে। সেই কাজ শুরুর পরে ওই কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে নাসের আলির অভিযোগ, “কলেজের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতেই মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান কুরবান শাহ ৩০ লক্ষ টাকা চায়। এ ছাড়া নদীখাত থেকে বালি তোলার জন্য লরি পিছু ৩০০ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। ওই টাকা না দেওয়ায় কাজে নানা ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, কলেজের নির্মাণ কাজ দেখতে গেলেই তাঁকে হুমকি দিচ্ছে উপ-প্রধানের লোকেরা।

যাবতীয় অভিযোগ যাঁর দিকে, সেই কুরবান শাহ রবিবার বলেন, “টাকা চাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং ওই ঠিকাদার বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাকে কাজ করতে না দিয়ে জোর করে কাজ করছে।” তবে লরিপিছু টাকা চাওয়ার অভিযোগ মেনেছেন তিনি। তিনি বলেন, “শ্রমিক ইউনিয়নের তরফে লরি পিছু ১৫০ টাকা করে চাওয়া হয়েছে। কারণ ডাম্পার দিয়ে বালি তোলার ফলে শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “কলেজের নাম করে রাতের অন্ধাকারে ডাম্পার দিয়ে অতিরিক্ত বালি তুলে অন্যত্র বিক্রি করছে ওই ঠিকাদার। এর ফলে ওই এলাকায় নদীর বাঁধে বিপজ্জনক অবস্থা হয়েছে। তাই বাসিন্দারাই বালি তোলার কাজে বাধা দিয়েছেন।” তাঁর কথায়, ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত বালি তোলার বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামেরই বাসিন্দা। এতে তাঁর ভূমিকা নেই। তবে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের কাছে আসেনি।

tamluk money extortion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy