Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অবরুদ্ধ রাস্তা, ভোগান্তি

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দুই কর্মীর প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ হল পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম ব্যস্ত ও জনবহুল পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড! পাঁশকুড়ার তৃণমূল পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খানের গোষ্ঠীর সঙ্গে পুরসভার কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি আনিসুর রহমানের গোষ্ঠীর বিরোধ সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৮

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দুই কর্মীর প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ হল পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম ব্যস্ত ও জনবহুল পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড!

পাঁশকুড়ার তৃণমূল পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খানের গোষ্ঠীর সঙ্গে পুরসভার কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি আনিসুর রহমানের গোষ্ঠীর বিরোধ সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি সেই তার মাত্রা বাড়ছে। এর জেরেই বুধবার রাতে জাকিউরের অনুগামী তৃণমূলের দুই কর্মী টিটন চক্রবর্তী ও হাসিবুল খানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে আনিসুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ওই দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁশকুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

প্রতিবাদে তৃণমূলের জাকিউর গোষ্ঠীর শতাধিক নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পাঁশকুড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনের অবরোধ শুরু করে। এর ফলে বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘাটাল, ডেবরা, মেদিনীপুর, তমলুকগামী বিভিন্ন রুটের বাস বের হতে কিংবা ঢুকতে পারেনি। এতে চরম হায়রানির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রী-সহ কয়েক হাজার মানুষ। এই অবরোধের জেরে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে অচলাবস্থা তৈরি হলেও পাঁশকুড়া থানার পুলিশ প্রথমে হস্তক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। দীর্ঘ ক্ষণ অবরোধের পর দুপুর একটা নাগাদ পাঁশকুড়া থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। কলকাতা থেকে ঘাটালে ফিরছিলেন বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী প্রিয়তোষ চৌধুরী। তিনি বলেন, “রাতের ডিউটি সেরে ফিরছি। হাওড়া থেকে পাঁশকুড়া স্টেশনে নেমে বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু, ততক্ষণে অবরোধ শুরু হয়ে গিয়েছে। জানি না কখন বাড়ি ফিরব!” দশটা থেকে দুপুর একটা, টানা তিন ঘণ্টা ওই অবরোধ চলে।

জাকিউর রহমানের অভিযোগ, “বুধবার রাতে দুই কর্মী পাঁশকুড়া থানায় যান। ফেরার সময়ে থানার কাছেই দু’জনকে আটকে ব্যাপক মারধর করে আনিসুররের ঘনিষ্ট বেশ কয়েক জন। ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও তাঁদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।” এরপরই মারধরে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে জাকিউরের ভাই তথা তৃণমূল নেতা জাইদুল খান ও কাউন্সিলর নবকুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শতাধিক দলীয় কর্মী-সমর্থক অবরোধ শুরু করে।

দলের কোন্দলে কেন পথ চলতি মানুষকে হয়রান করা? জাইদুল খানের বক্তব্য, দলের নিরীহ কর্মীরা দুষ্কৃতীদের হাতে মার খাচ্ছে। অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে গড়িমসি করছে। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা পথে নেমেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি আনিসুর রহমানের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের কোন্দলে জড়ানো হচ্ছে। আর দীর্ঘ ক্ষণ অবরোধ নিয়ে আনিসুরের বক্তব্য, সাধারণ মানুষকে হায়রান করে এই ধরনের কর্মসূচির তাঁরা বিপক্ষে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে দলীয় নেতৃত্বকে জানানো উচিত ছিল।

panskura tmc clash road blockade
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy