পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন একই পরিবারের চারজন। বুধবার সন্ধ্যায় বেতালিয়ার কাছে দিঘা-কলকাতা সড়কের এই দুর্ঘটনায় জখমরা হলেন প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য, স্বপ্না ভট্টাচার্য, কৃষ্ণা পতি ও তপন পণ্ডা। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রসেনজিৎবাবুকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি তিনজন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মারিশদা থানার দুরমুঠ থেকে ভ্যান রিকশা চেপে কাঁথিতে বাস ধরতে আসছিলেন প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী স্বপ্নাদেবী ও পরিবারের আরও দুই সদস্য। বেতালিয়ার কাছে দিঘা-কলকাতা সড়কে একটি গাড়ি, ওই ভ্যান রিকশাটিকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় ছিটকে পড়েন চারজনই। গাড়িটি চলে যাওয়ার সময় প্রসেনজিৎবাবুর পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই প্রথমে চারজনকেই কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, “প্রসেনজিৎবাবুর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চলে যাওয়ায় তাঁর পা গুরুতরভাবে জখম। বাকি তিনজন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার বাসিন্দা স্বপ্না ভট্টাচার্য বলেন, “এ দিন এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে বাস ধরার জন্য আমরা চারজন ভ্যান রিক্সা চেপে কাঁথির দিকে যাচ্ছিলাম। কোথা দিয়ে যে কী হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না।” বুধবার রাতেই দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গে দেখা করেন। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত গাড়ি ও চালকের সন্ধান মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy