প্রহৃত বিজেপি নেতা।
কর্মীদের নিয়ে রবিবার কলকাতায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন দলের মণ্ডল কমিটির এক সম্পাদক। সোমবারই তাঁকে মারধরে নাম জড়াল তৃণমূলের। অভিযোগ, সোমবার রাতে দাসপুর ২ ব্লকের খেপুতে বিজেপির ওই মণ্ডল কমিটির সম্পাদক অশোক মাইতিকে তৃণমূলের লোকজন লাঠি, রড দিয়ে পেটায়। স্থানীয়েরাই অশোকবাবুকে সোনাখালি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করায়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “অশোক মাইতির মাথায়, হাতে ও শরীরের নানা জায়গায় আঘাত রয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও মাথায় আঘাতের জন্য ফের তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে।” বিজেপির তরফে লিখিত ভাবে দাসপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তুষারবাবুর অভিযোগ, “ঘটনার পিছনে তৃণমূলের ব্লক স্তরের বহু নেতার ইন্ধন রয়েছে।” প্রহৃত অশোকবাবু মঙ্গলবার বলেন, “কেন সভায় গিয়েছি, সে কথা তুলে তৃণমূলের দুই কর্মী মারধর শুরু করে।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তপন দত্ত বলেন, “বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। তবু দুই কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।”
বিজেপি সূত্রের খবর, কলকাতায় দলের সভার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই জেলা জুড়ে প্রস্তুতি চলছিল। দলেরই একটি সূত্রের খবর, দাসপুর থেকে অনেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সংগঠন আপাতত ভাল জায়গায় রয়েছে। সভার দিন এলাকা থেকে একাধিক গাড়ি ভর্তি সমর্থকও গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, দাসপুর বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। ইদানীং বিজেপি প্রায়ই সভা, মিছিল থেকে দলীয় অফিসও খুলছে। বিজেপির অভিযোগ, তাতেই শঙ্কায় তৃণমূল। ত্রস্ত করতে মারধরের পথ নিচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার খেপুতে বিজেপি ধিক্কার মিছিল বের করে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলের অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চলছে।
অন্য দিকে, কলকাতায় বিজেপির সভায় যোগ দেওয়ায় দলের পাঁচ কর্মী-সমর্থককে তৃণমূলের লোকেরা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করল বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “গড়বেতার ধাদিকা থেকেও বেশ কয়েক জন কলকাতায় গিয়েছিলেন। সে জন্যই ধাদিকার শান্তিবাঁধ, লালপুড়া এলাকার ওই পাঁচ কর্মীকে হুমকি দেওয়া হয়।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের দাবি, এমন ঘটনা ঘটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy