Advertisement
E-Paper

দলেরই উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অনাস্থা পাশ ধলহরায়

তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করালেন তৃণমূল সদস্যরাই। সোমবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান দীনেশ নন্দের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য বিডিও’র প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত অফিসে তলবি সভা ডাকা হয়। সভায় দীনেশবাবু-সহ বিরোধী দলের অধিকাংশ সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৩৩

তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করালেন তৃণমূল সদস্যরাই। সোমবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান দীনেশ নন্দের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য বিডিও’র প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত অফিসে তলবি সভা ডাকা হয়। সভায় দীনেশবাবু-সহ বিরোধী দলের অধিকাংশ সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। সভায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ জন তৃণমূল, তিন জন বামফ্রন্ট ও এক জন নির্দল সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করেন। ফলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ১২ -০ ভোটে পাশ হয়ে যায়। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান পদ থেকে অপসারিত হলেন দীনেশবাবু। ঘটনার জেরে ফের প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে দীনেশবাবু নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে তৃণমূল প্রার্থীকে হারান। পরে ফের তৃণমূলে যোগ দিয়ে ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নির্বাচিত হন দীনেশবাবু। কিন্তু তৃণমূলের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক সভাপতি দিবাকর জানার বিরোধী গোষ্ঠীর লোক হিসেবে পরিচিত উপ-প্রধান দীনেশবাবুর বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের ৭ জন সদস্য। সোমবারের সভায় তৃনমূলের ৮ জন ও এক জন নির্দল সদস্য উপস্থিত হলেও দীনেশবাবু অনুপস্থিত ছিলেন। সভায় বিরোধী বামফ্রন্টের ১০ জন সদস্যদের মধ্যে তিন জন উপস্থিত ছিলেন। ১২ জন সদস্য সমর্থন করায় সহজেই অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। দীনেশবাবুর অভিযোগ, “শুধুমাত্র ব্লক সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠীর হওয়ার কারণেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল। আমাকে হারানোর জন্য সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলানো হয়েছে।” শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিবাকর জানা বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধানের কাজে বাধা দেওয়া ও দল বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে উপ-দল তৈরিতে মদত দেওয়ার কারণেই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ওই উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে। আর বামফ্রন্টের যে তিন জন সদস্য এ দিন আমাদের প্রস্তাব সমর্থন করেছে, তাঁরা আমাদের দলে যোগ দেবেন।”

tamluk tmc no confidence motion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy