Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

নিখোঁজ বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বাপের বাড়িতে

বাপের বাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল খড়্গপুরে। মৃতের নাম বাসন্তী সাহু পাল (২৫)। শনিবার রাতে খড়্গপুর শহরের সাঁজোয়ালে বাপের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই মহিলার বিকৃত দেহ উদ্ধার হয়। বাসন্তীদেবীর শ্বশুরবাড়ি পুরুলিয়ার বলরামপুরে। দু’দিন আগে থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ দিন রাতে তাঁর বিকৃত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৪ ০১:২৭
Share: Save:

বাপের বাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল খড়্গপুরে। মৃতের নাম বাসন্তী সাহু পাল (২৫)। শনিবার রাতে খড়্গপুর শহরের সাঁজোয়ালে বাপের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই মহিলার বিকৃত দেহ উদ্ধার হয়। বাসন্তীদেবীর শ্বশুরবাড়ি পুরুলিয়ার বলরামপুরে। দু’দিন আগে থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ দিন রাতে তাঁর বিকৃত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁর বাপের বাড়ির পরিবারের দাবি, বাসন্তীদেবীর স্বামী সঞ্জয় পাল বেকার হওয়ায় মানসিক অবসাদ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে রবিবার পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশে বাসন্তীদেবীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দু’য়েক আগেই খড়্গপুরের সাঁজোয়ালের বাসন্তীদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পুরুলিয়ার বলরামপুরের যুবক সঞ্জয় পালের। বাসন্তীদেবীর পরিবারের দাবি, সঞ্জয় একটি বেসরকারি সংস্থার আধিকারিক বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এই বিয়ে করেছিল। তবে বিয়ের পরে স্বামী কাজে যাচ্ছেন না দেখে সন্দেহ হয় বাসন্তীদেবীর। পরে বাসন্তীদেবী সমস্ত কথা জানতে পারেন। অভিযোগ, সেই ঘটনা জানাজানি হতেই বাসন্তীদেবীর উপর নির্যাতন চালানো হত। দিন দশেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি বাপের বাড়িতে চলে আসেন। গত ৩ জুলাই থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ। ওই দিনই বাসন্তীদেবীর বাবা স্বপন সাহু পুলিশে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ বাপের বাড়ির গোয়ালঘর সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে বাড়ির লোকেরা ওই ঘরে ঢুকে বাসন্তীদেবীর দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায়। স্বপনবাবু বলেন, “জামাই উচ্চপদে কাজ করত বলে বিয়ে করেছিল। কিন্তু মেয়ে পরে জানতে পারে, সবটাই মিথ্যা। তাই ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল।” খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই ওই বধূ আত্মঘাতী হয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE