Advertisement
E-Paper

পানীয় জল প্রকল্পের জমি হস্তান্তর, কাজ শুরু শীঘ্রই

কোলাঘাটে নদী ভিত্তিক পানীয় জল প্রকল্পের জন্য প্রায় ছয় একর জমি হস্তান্তর হল শুক্রবার। এ দিন কোলাঘাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রায় ১৮৬ কোটি টাকার ওই পানীয় জল প্রকল্পের জন্য কোলাঘাট শহর সংলগ্ন ছাতিন্দা মৌজায় রূপনারায়ণ নদীর তীরে থাকা বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ইট কারখানার ৫.৭১ একর জমি রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছ বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২১

কোলাঘাটে নদী ভিত্তিক পানীয় জল প্রকল্পের জন্য প্রায় ছয় একর জমি হস্তান্তর হল শুক্রবার। এ দিন কোলাঘাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রায় ১৮৬ কোটি টাকার ওই পানীয় জল প্রকল্পের জন্য কোলাঘাট শহর সংলগ্ন ছাতিন্দা মৌজায় রূপনারায়ণ নদীর তীরে থাকা বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ইট কারখানার ৫.৭১ একর জমি রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছ বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এর ফলে ওই প্রকল্পের জন্য জমির সমস্যা মিটল বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। এ দিন জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন কোলাঘাটের বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী। বিপ্লববাবু বলেন, “কোলাঘাট ব্লকের প্রতিটি পরিবারের বাসিন্দাদের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর রূপনারায়ণ নদী থেকে জল তুলে পরিস্রুত করে সরবরাহের এই বৃহ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে. প্রকল্পের জন্য ছাতিন্দা মৌজায় একলপ্তে প্রায় ছ’একর জমি পাওয়ায় খুবই সুবিধা হল। শীঘ্রই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।”

জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জনবহুল বাজার এলাকায় কোলাঘাটকে পুরসভা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রশাসনিক প্রক্রিয়াও চলছে। রূপনায়ারণ নদীর পাশে থাকা জেলার অন্যতম জনবহুল এলাকা কোলাঘাট বাজার-সহ ব্লকের বেশিরভাগ এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। কোলাঘাট বাজার-সহ গোটা ব্লকের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে নদীর জল তুলে পরিস্রুত করে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সে জন্য নদীতীর সংলগ্ন এলাকায় জল তুলে শোধনের পর পাইপ লাইনের মাধ্যমে ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি এলাকায় একটি জলাধারে জল পাঠিয়ে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহের প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ওই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ১৮৬ কোটি টাকা খরচ হবে বলে ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই প্রকল্পের টেন্ডার করা হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প রূপায়ণের জন্য নদীতীর সংলগ্ন এলাকায় জমি পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত কোলাঘাট শহর সংলগ্ন ছাতিন্দা মৌজায় প্রায় দশ বছর আগে বন্ধ হয়ে একটি ‘হলো’ ইট (ফ্লাই অ্যাশ ও মাটি মিশ্রিত) তৈরির কারখানার প্রায় ৬ একর জমি পাওয়া যায়।

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতিন্দা মৌজায় ওই ইট কারখানার জমি মালিক ছিলেন বিবেককুমার বনসাল। তাঁর কাছ থেকে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দামে ওই জমি কেনা হয়েছে। শুক্রবার দফতরের কাছে ওই জমি বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পূর্ব মেদিনীপুরের নির্বাহী বাস্তুকার সত্যজিৎ পান বলেন, “ছাতিন্দা মৌজায় ওই জমি পাওয়ার ফলে নদী ভিত্তিক পানীয় জল প্রকল্পের কাজের একটি বড় সমস্যা দূর হল। আশা করি, শীঘ্রই প্রকল্প শুরু করা যাবে।”

tamluk kolaghat driking water
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy