প্রৌঢ় খুনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও অধরা প্রকৃত অভিযুক্ত। শনিবার খড়্গপুরে এসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে বেলদা থানার বিরুদ্ধে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জমা দেন মৃতের ছেলে। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি বেলদার জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ি এলাকার কাশমূলির ধান জমি থেকে উদ্ধার হয় পটাশপুরের মুস্তাফাপুরের বাসিন্দা সুধীর ঘোড়াইয়ের (৫৫) দেহ। মৃতের গলায় ধারালো অস্ত্রের দাগ থাকায় মৃতের ছেলে রতন ঘোড়াই পুলিশে গৌরহরি জানা-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। গত বছর ১৩ জানুয়ারি সুধীরবাবুর পরিচিত গৌরহরি জানাকে গ্রেফতারও করে বেলদা থানার পুলিশ। পরে মৃতের ছেলে ওই ঘটনায় নিজের কাকা উমেশ ঘোড়াই, জেঠা সুবল ঘোড়াই, জেঠার ছেলে পঞ্চানন ঘোড়াই যুক্ত দাবি করে ফের অভিযোগ জানান।
বেলদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তেরা পলাতক। যদিও মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, অভিযুক্তেরা সকলেই এলাকায় যাতায়াত করছেন। অথচ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় তাঁরা এখনও অধরা। অথচ প্রতিদিন তাঁদের বিভিন্ন হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। রবিবার এই মর্মেই মৃতের ছেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি দিয়ে সুবিচারের দাবি তোলেন। রতন ঘোড়াই বলেন, “ঘটনার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঘটনার বিচার হয়নি। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই পুলিশ যাতে সক্রিয় হয়ে ওদের গ্রেফতার করে আমাদের সুবিচারের ব্যবস্থা করে, সে বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে দাবি জানিয়েছি। যদিও রবিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে খোঁজ নেব।”