Advertisement
E-Paper

ব্যাঙ্কের টাকা ছিনতাইয়ে ধৃত পাঁচ, উদ্ধার ১০ লক্ষ

গাড়ির চালকের যোগসাজশেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের টাকা লুঠ করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। চালক-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে এ কথাই জেনেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার বালিহাটির কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৪ ০০:৩২

গাড়ির চালকের যোগসাজশেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের টাকা লুঠ করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। চালক-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে এ কথাই জেনেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার বালিহাটির কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। শনিবার খড়্গপুর গ্রামীণ থানাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানান, খোওয়া যাওয়া ১৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দু’টি মোটরবাইকও।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর শাখা থেকে পাঁশকুড়ার শ্যামসুন্দরপুর-পটনা শাখায় ১৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যাঙ্কের কোষাধ্যক্ষ তারাপদ ভঞ্জ ও পিওন অনুপম পড়িয়া। ভাড়া গাড়িতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। বালিহাটির কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দু’টি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। তারপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা ছিনতাই করে তারা।

গত মাস দুয়েকে খড়্গপুরে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অধরা থেকে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সিআইডি অফিসের সামনে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই থেকে প্রাতর্ভ্রমণে বেরনো প্রৌঢ়ার হার ছিনতাই কোনও ঘটনারই কিনারা হয়নি। গত ৬ জুন আবার দু’টি পৃথক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দুই অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীর লক্ষাধিক টাকা খোওয়া যায়। একের পর এক ছিনতাইয়ের পর ব্যবসায়ী থেকে রাজনৈতিক দল, নানা মহল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে সুর চড়ায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অবশ্য নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। দ্রুত ঘটনার কিনারাও করে ফেলে পুলিশ। শনিবার খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর, এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল এবং গ্রামীণ থানার ওসি রাজশেখর পাইনকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার জানান, লিখিত অভিযোগের পেয়েই তদন্ত শুরু হয়। কাঁথি, দিঘা, এগরায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত খড়্গপুরের মালঞ্চর রাজা সিংহ (রসিম), মেদিনীপুরের সুমন সিংহ (মোটা রাজা), সিপাইবাজার শেখ বাপি, সিপাইবাজারের শেখ সাবির, হাবিবপুরের শেখ সামিমকে (পিন্টু) রবিবার জেলা আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের টিআই প্যারেডেও সামিল করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রাজা সিংহ ২০১২ সালে খড়্গপুরের খরিদায় সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে এক যুবককে খুনের দায়ে গত বছর ডিসেম্বরে যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে জেলে পায়। তবে কিছুদিন আগেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। সুমন সিংহ ও শেখ সাবিরও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। ভারতীদেবী শনিবার বলেন, “যাবজ্জীবন সাজার পরেও জামিন নিয়ে বেরিয়ে ফের এ সব কাজ করছে। আমরা হাইকোর্টকে জানাবো যাতে জামিন বাতিল হয়।” যে ভাড়া গাড়িতে টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তার চালকও নানা দুষ্কর্মে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, “এই মামলাটা এত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে তার প্রধান কারণ, খড়্গপুরে সম্প্রতি তিন-চারটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা থেকে যায় এই দলটি বা এদের পরিচিতরাই এই সব কাণ্ডে জড়িত।” গোটা বিষয়টিই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

bank-robbery arrest kharagpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy