জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রার সূচনা করছেন সাংসদ সন্ধ্যা রায়। —নিজস্ব চিত্র।
রথযাত্রার আনন্দে সামিল হল দুই শহরমেদিনীপুর ও খড়্গপুর। দুই শহরেই রথ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিকেলের দিকে বৃষ্টি নামলেও উৎসবের সুর ছিল অটুট।
মেদিনীপুর শহর লাগোয়া বিশ্বশুক সেবাশ্রম সঙ্ঘের রথোৎসবে যোগ দিতে রবিবার দুপুরে মেদিনীপুরে আসেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। আর শহরের জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটির রথযাত্রায় যোগ দেন মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায়।
বিশ্বশুক সেবাশ্রম সঙ্ঘের রথোৎসবের এ বার রজয়জয়ন্তী বর্ষ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো। মেদিনীপুর জেলা ভাগ হয়েছে। তবে আমি নিজেকে এখনও মেদিনীপুরের বাসিন্দা বলে মনে করি। অবিভক্ত মেদিনীপুরে শিক্ষা, সেবা, ধর্ম সব আছে।” এ দিন শুভেন্দুবাবু আশ্রমের নবনির্মিত একটি ছাত্রবাসেরও উদ্বোধন করেন। রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি রমজানের আগাম শুভেচ্ছাও জানান তমলুকের সাংসদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র।
এ দিন মেদিনীপুরে জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রার সূচনা করেন সাংসদ সন্ধ্যা রায়। তিনি রাস্তায় ঝাড়ু দেওয়ার পরই রথ চলতে শুরু করে। সূচনাপর্বে ছিলেন বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরপ্রধান প্রণব বসু। বৃষ্টির জন্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ব্যাহত হয়। বিকেলের মেলাও কার্যত পণ্ড হয়। রথোৎসব উপলক্ষে এ দিন শহরের দু’টি এলাকায় মেলা বসে। জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া এলাকা এবং কলেজ মোড় এলাকায় দুপুর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। রথ দেখার জন্য প্রচুর মানুষ রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শহরের কালেক্টরেট মোড়ে সন্ধ্যারতি হয়।
প্রতিবছরের মতো এ বারও রথযাত্রা ঘিরে চেনা উন্মাদনার ছবি দেখা গিয়েছে রেলশহর খড়্গপুরে। রবিবার ছুটির মেজাজে সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নির্মিত নিউ সেটলমেন্টের ‘জগন্নাথ জিউর মন্দিরে’। ১৯৮৬ সালে নিউ সেটলমেন্টের রেলের জমিতে জগন্নাথদেবের একটি ছোট মন্দির নির্মিত হয়। পরবর্তী কালে ২০০২ সালে ওড়িশা সরকারের সংস্কৃতি বিভাগের অনুদানে ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সাহায্যে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নতুন মন্দির গড়ে ওঠে। তারপর থেকেই এই রথযাত্রার পথচলা শুরু। এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার তিনটি পৃথক রথের যাত্রার সূচনা হয়। প্রতি বছরের মতোই ওড়িশার বারিপদার ধাঁচে মহিলারাই সুভদ্রার রথ টেনে নিয়ে যান। এ দিনের রথযাত্রায় গজপতির ভূমিকায় ছিলেন খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন ডিরেক্টর দামোদর আচারিয়া। এছাড়াও খড়্গপুরের সুভাষপল্লি ও তালবাগিচায় রথযাত্রা ঘিরে বহু মানুষের ভিড় হয়। তালবাগিচার রথতলায় সাত দিনব্যাপী মেলারও এ দিন সূচনা হয়। রবিবার ছুটির দিনে মেলা ঘিরে মাতে আট থেকে আশি সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy