ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তমলুকের শঙ্করআড়ায়। মৃতের নাম বাদল দেবনাথ (৬৪)। পেশায় শ্রমিক। অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে তাঁর ছেলে চন্দনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তমলুক শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়ার বাসিন্দা বাদলবাবু। দুই ছেলের মধ্যে বড় চন্দনের সঙ্গে, একই বাড়িতে থাকতেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা দেবনাথ। চন্দন পেশায় ভ্যান-রিক্সা চালক। সন্ধ্যাদেবী পরিচারিকার কাজ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাদলবাবু ও ছেলে চন্দন দু’জনে প্রায়ই মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফিরতেন। পারিবারিক নানা বিষয়ে বাদলবাবুর সঙ্গে ছেলে-বউমার বচসা হত। ওই রাতেও বউমা কবিতা দেবনাথের সঙ্গে বচসা বাধে।
এরই মাঝে রাত ৯টা নাগাদ ছেলে চন্দনও মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফেরে। বাড়ির সামনেই তাঁর সঙ্গে বাদলবাবুর বচসা বাধে। বচসার সময় বাদলবাবু একটি লাঠি নিয়ে চন্দনকে মারলে ক্ষিপ্ত হয়ে চন্দন বাড়ির কাছে থাকা ইট তুলে বাদলবাবুর দিকে ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মাথায় গুরুতর চোট পান বাদলবাবু। স্থানীয়রা তাঁকে তমলুক হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকেরা মৃত্যু হয়েছে জানায়।
মঙ্গলবার বাদলবাবুর বাড়ি গিয়ে রাতের প্রসঙ্গ তুলতেই চন্দনের স্ত্রী কবিতা বলেন, “শ্বশুর মদ্যপ অবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে উৎপাত করত। সোমবার দুপুর থেকে বচসা হচ্ছিল। কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরি করায় বড় নাতিকেও গালি দেয়। সন্ধ্যায় পেতলের কলসি বেচে মদ্যপ হয়ে ফেরে। পরে বচসায় ওই ঘটনা ঘটে।”
বাদলবাবুর বাড়ির কাছেই থাকেন তাঁর বোন কাঞ্চন সাঁতরা। তিনিও বলেন, “দাদা প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রী-ছেলে-বউমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ-সহ সংসারে অত্যাচার করত।” বাদলবাবুর স্ত্রী সন্ধ্যা দেবনাথ ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় মদ-জুয়ার ঠেক চলায় মদ্যপদের উৎপাত চলে। এ দিনের ঘটনা তারই জের!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy