Advertisement
২১ মে ২০২৪

বধূকে পুড়িয়ে মারার নালিশ, অভিযুক্ত ৩

এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নন্দকুমার থানার ব্যবত্তারহাট এলাকার তারাগেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম অর্পিতা মাইতি (২১)। এ দিন সন্ধ্যায় বাড়ির ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৭
Share: Save:

এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নন্দকুমার থানার ব্যবত্তারহাট এলাকার তারাগেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম অর্পিতা মাইতি (২১)। এ দিন সন্ধ্যায় বাড়ির ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অর্পিতার বাবা নন্দকুমার থানায় তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও জায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তেরা পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার ভবানীপুর থানার ডালিম্বচক গ্রামের মেয়ে অর্পিতার সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় নন্দকুমার থানার ব্যবত্তারহাট এলাকার তারাগেড়িয়া গ্রামের যুবক সৌতম মাইতির। তাঁদের এক বছর ৯ মাসের একটি ছেলেও রয়েছে। বাবা-মা ও দুই ভাই নিয়ে যৌথ পরিবারেই থাকতেন সৌতমরা। পেশায় ব্যবসায়ী সৌতমদের ব্যবত্তারহাট, হলদিয়ার নন্দরামপুরে দু’টি মিষ্টির দোকান রয়েছে। ওই গৃহবধূর বাবা গোপেন্দ্র মাজি জানান, বিয়ের সময় নগদ ও গয়না মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আরও টাকার জন্য স্বামী-সহ শশুরবাড়ির লোকেরা মেয়ের উপর মানসিক ও শারিরীক অত্যাচার করত। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল। তা সত্বেও মেয়ে শশুরবাড়িতে ছিল। গোপেন্দ্রবাবুর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার সকালেও মেয়ে ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিল। কিন্তু এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ আমার ছেলে সৌমিক দিদির বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু ওখানে গিয়ে সে দেখে বাড়ির সামনে লোকজনের জটলা। তাঁকে ওই বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয় আমাকে ফোন করে জানায়, মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাড়াতাড়ি চলে আসুন। কিছুক্ষণ পরে ছেলে ফোন করে জানায় দিদির গায়ে আগুন লেগেছে। এতে আমাদের সন্দেহ বাড়ে। পরে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাই।” তিনি জানান, রাতে নন্দকুমার থানায় গিয়ে দেখি পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। মৃতার বাবা মেয়ের স্বামী সৌতম, শ্বশুর রাধাকৃষ্ণ ও জা সুস্মিতার বিরুদ্ধে নন্দকুমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের ধরতে তল্লাশি চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE