Advertisement
E-Paper

বরাদ্দের হিসেব নিয়ে হুঁশিয়ারি

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থের সময়মত হিসেব না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও হাইস্কুলের বিরুদ্ধে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থের হিসেব না দিলে ওইসব স্কুলেগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মেদিনীপুর জেলা সর্বশিক্ষা মিশন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৪ ০১:০৯

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থের সময়মত হিসেব না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও হাইস্কুলের বিরুদ্ধে।

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থের হিসেব না দিলে ওইসব স্কুলেগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মেদিনীপুর জেলা সর্বশিক্ষা মিশন। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাকক্ষে জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধক্ষ্য মামুদ হোসেন। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক পুষ্পেন্দু সরকার-সহ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের পরিদর্শকরা।

জেলা সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বশিক্ষা মিশন থেকে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, স্কুলে জলের কল বসানো ইত্যাদি বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরির জন্য জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিকে ২০০৪-০৫ আর্থিক থেকে ২০১২-১৩ আর্থিক বছর পর্যন্ত অনেক অর্থ বরাদ্দ করা হয়। বেশ কিছু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই বরাদ্দ অর্থের কোনওরকম হিসেব দেয়নি। হিসেব দিতে না পারায় গত ২০১৩- ১৪ আর্থিক বছরে সমস্ত জেলার জন্যই কোন অর্থই পাওয়া যায়নি।

জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়কে দেওয়া ১৬৬ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা খরচের কোনও হিসেব পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে গত বছরই জেলা প্রশাসন হুঁশিয়ারি দেওয়ায় অধিকাংশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের বরাদ্দ অর্থ খরচের হিসেব জমা দেয়। প্রায় ৪ মাস পরে ৮ ফেব্রুয়ারি বরাদ্দ অর্থের বকেয়া হিসেবের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩২ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। চলতি বছরে বুধবার পর্যন্ত সেই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকায়।

হিসেব কমার কারণ জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয় সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থ ব্যবহারের শংসাপত্র (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) জমা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখনও বেশ কিছু বিদ্যালয় হিসেব জমা দেয়নি। মামুদ হোসেন জানান “ এখনও প্রায় ২০০টি স্কুল সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থ খরচের হিসেব জমা দেয়নি। এইসব স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বরাদ্দ অর্থের হিসেব জমা দিতে হবে না হয় অর্থ ফেরত দিতে হবে। এই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যেসব স্কুলগুলি সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থের হিসেব দেবে না তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

tamluk primary school corrotion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy