Advertisement
০৭ মে ২০২৪

মানসিক চাপেই পালায় ম্যাথু, সন্দেহ

পড়াশোনা নিয়ে পরিবারের লোকেদের প্রত্যাশার চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই বাড়ি ছেড়েছে হলদিয়ার অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ম্যাথু জর্জ- ম্যাথুর অন্তর্ধান রহস্যের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত এটাই মনে করছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৪ ০০:৫৩
Share: Save:

পড়াশোনা নিয়ে পরিবারের লোকেদের প্রত্যাশার চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই বাড়ি ছেড়েছে হলদিয়ার অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ম্যাথু জর্জ- ম্যাথুর অন্তর্ধান রহস্যের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত এটাই মনে করছে পুলিশ। যদিও বুধবারও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফোনের সূত্র ধরে ওড়িশার বালেশ্বরে তার অবস্থানের খবর পাওয়ার পর সোমবার রাতেই এক পুলিশ কর্মীকে নিয়ে বালেশ্বরে রওনা দিয়েছিলেন ম্যাথুর বাবা কে এম জর্জ। সেখান থেকে ম্যাথুর খোঁজে তাঁরা অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত গেলেও বুধবার ফের হলদিয়া ফিরে আসেন। পুলিশ ও জর্জ পরিবারের ধারণা, শেষ পর্যন্ত সে কেরালায় তার দিদি মারিয়া জর্জের কাছে যেতে পারে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) অমিতাভ মাইতি বলেন, “পড়াশোনা নিয়ে বাবা মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করার ক্ষেত্রে ম্যাথু নিজের ওপর আস্থা রাখতে পারছিল না। তাই বাড়ি ছেড়ে মানসিক শান্তির জন্য ঘনিষ্ঠ কারোর সান্নিধ্য পেতে চেয়ে বাড়ি ছাড়তে পারে। তবে তার খোঁজে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভিন্‌ রাজ্যের পুলিশের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।”

জর্জ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাবর অন্তর্মুখী স্বভাবের ম্যাথু পরিবারেরই চাপে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। অন্য বিভাগে পড়ার ক্ষেত্রে তার স্বাচ্ছন্দের কথা জানালেও পরিবারের লোকেরা তার আপত্তি গ্রাহ্য করেনি। যার ফলে গত কয়েকমাস সে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছিল। গত সোমবার সকালে বাড়ি ছাড়ার আগে রাতে তার দিদির সঙ্গে মোবাইলে চ্যাট করেছিল ম্যাথু। সেখানে দিদিকে সে তার মন খারাপের কথা জানায়। মারিয়া কেরালায় বাড়িতে থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করে। পুলিশ ও বাড়ির লোকেদের ধারণা, যেহেতু একমাত্র দিদির কাছেই সে মনের কথা জানায়, তাই সে দিদির কাছে গিয়ে তার সমস্যার কথা জানাবে। যাতে কেরালায় দিদি বা পরিবারের কোনও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি তার সমস্যার কথা বুঝতে পারে। জর্জ পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ম্যাথু তার কোনও শংসাপত্র নিয়ে যায়নি। সঙ্গে নেয়নি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকাও। চিন্তার বিষয় এটাই যে, সে যদি কেরালায় না যায় তাহলে সে থাকবে ও খাবে কোথায়। কারণ বাইরের বাস্তব দুনিয়া সম্বন্ধে তার অভিজ্ঞতা নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE