এলাকার বিধায়ক কংগ্রেসের। তাই তাঁর উন্নয়ন তহবিলের টাকা নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলি। এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
চলতি অর্থবর্ষে সবং বিধানসভা এলাকায় নিজের তহবিল থেকে ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। গত অগস্টে জেলাশাসকের কাছে সে কথা লিখিত ভাবে জানান মানসবাবু। কোন কোন পঞ্চায়েত অ্যাম্বুল্যান্স পাবে জানিয়েও দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। সবং ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে থাকা ৬টি পঞ্চায়েত জানিয়ে দেয় কংগ্রেস বিধায়কের তহবিলের টাকায় অ্যাম্বুল্যান্স নেবে না, তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী অর্থাত্ দেবের তহবিলের টাকায় অ্যাম্বুল্যান্স নেবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৯টি পঞ্চায়েতকে অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হবে বলে মানসবাবু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেগুলি হল সবং ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত নারায়ণবাড়, তৃণমূল পরিচালিত বলপাই, ভেমুয়া, মোহাড়, বুড়াল ও বিষ্ণুপুর এবং পিংলা ব্লকের জলচক-১, জলচক-২ ও মলিগ্রাম। মানসবাবু বলেন, “আমি দলমত নির্বিশেষে বিধায়ক তহবিলের টাকায় উন্নয়নের কাজ করতে চাই। কেউ অ্যাম্বুল্যান্স নিতে না চাইলে আমার কী করার আছে। এলাকার যে সব সংগঠন এ ক্ষেত্রে ইচ্ছুক, তাদের দেওয়া হবে।” সবং ব্লকের কংগ্রেস নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির বক্তব্য, “গত অগস্টে বিডিও অফিসে একটি বৈঠকে সাংসদ তহবিলের টাকায় কিছু পঞ্চায়েতকে অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হবে বলে আলোচনা হয়েছিল। তার পরেই মানসবাবু রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বেছে বেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েতগুলিকে অ্যাম্বুল্যান্স দেবেন বলেছেন। তাই আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতেগুলি তা নেবে না বলে জানিয়েছে। তারা সাংসদ তহবিলের টাকায় অ্যাম্বুল্যান্স নেবে বলেছে।”
সবংয়ে বিরোধিতার পথে হাঁটলেও উন্নয়নের প্রশ্নে পিংলার পঞ্চায়েতগুলি সে পথে যাচ্ছে না। সবং বিধানসভা এলাকার মধ্যে পিংলা ব্লকের জলচক-১ ও জলচক-২ গ্রাম পঞ্চায়েত বিধায়ক তহবিলের টাকায় ওই অ্যাম্বুল্যান্স নেবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত জলচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজিত দাস, জলচক-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতাপ বাটুল। তাঁরা বলেন, “এই অর্থ মানস ভুঁইয়ার ব্যক্তিগত নয়। উন্নয়নের স্বার্থে বিধায়ক তহবিলের টাকায় এই অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হচ্ছে।” পিংলার তৃণমূল পরিচালিত মলিগ্রাম পঞ্চায়েত অবশ্য ওই অ্যাম্বুল্যান্স নিচ্ছে না। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সুলেখা মাইতি বলেন, “আমাদের পঞ্চায়েতে আগে থেকেই একটি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। নতুন করে অ্যাম্বুল্যান্স প্রয়োজন নেই।” এ প্রসঙ্গে মানসবাবুর বক্তব্য, “সবংয়ে কিছু তৃণমূলের নেতা ও অমূল্য মাইতি জলঘোলা করে দূষিত পরিবেশ তৈরি করছেন। পিংলার পঞ্চায়েতগুলিকে ধন্যবাদ জানাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy