একশো দিনের কাজ করেও মজুরির টাকা না পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে দিলেন স্থানীয় জিরাপাড়া, বাঁদরবনি ও নাগদি গ্রামের প্রায় আড়াইশো বাসিন্দা। গত সোমবার থেকে এই আন্দোলনের জেরে দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে জামবনি ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত ধড়সা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, একশো দিনের কাজ করেও কেউ দশ মাস কেউ বা ছয় মাস যাবত মজুরির টাকা পাচ্ছেন না।
এখন উপভোক্তাদের ডাকঘর অ্যাকাউন্ট অথবা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা আসে। ধড়সা অঞ্চলের ওই গ্রামবাসীদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে স্থানীয় ডাকঘরে। ধড়সা পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, আগে পঞ্চায়েতের তরফে উপভোক্তাদের ডাকঘর অ্যাকাউন্টে একশো দিনের কাজের মজুরির টাকা জমা করে দেওয়া হত। এখন ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি চালু হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কিন্তু ডাকঘরের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ওই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে না। যার ফলে, মজুরি বাবদ প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। কালীপুজোর দিন থেকে শুরু হচ্ছে মূলবাসীদের বাঁদনা পরব। বাসিন্দা ঠাকুরমণি হাঁসদা, ভৈরব গোপ, অনন্ত গোপদের বক্তব্য, “প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল কালীপুজোর পরে টাকা পাওয়া যাবে। টাকা না পেলে এবার বাঁদনা পরবের আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে।”
সোমবার বিকেলে পঞ্চায়েত অফিসে সমস্যার কথা জানাতে এসে প্রধানকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পঞ্চায়েত প্রধান প্রমীলা মুর্মু হাঁসদা বলেন, “ডাকঘর কর্তৃপক্ষের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে উপভোক্তারা টাকা পাচ্ছেন না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” জামবনির বিডিও দীপ ভাদুড়ি বলেন, “পঞ্চায়েত অফিসের তালা খোলার জন্য স্থানীয়স্তরে আলোচনা চলছে।”