এসএফআই প্রার্থী হওয়ায় এক ছাত্রীকে হুমকি ও কটূক্তির অভিযোগ উঠল কলেজের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে খড়্গপুরের হিজলি কলেজের ঘটনা। ঘটনার পর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নিগৃহীতা ওই ছাত্রী। অভিযুক্ত হারুণ রসিদ খান ওই কলেজেরই চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, হিজলি কলেজে গত বছর ক্ষমতায় ছিল টিএমসিপি। এ বারও প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে টিএমসিপি। এসএফআই ও এআইএসএফ জোট করে কলেজের ২৫টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এরই মধ্যে রয়েছেন নিগৃহীতা ওই ছাত্রী। বুধবার স্বামীর সঙ্গে কলেজে এসেছিলেন তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। এসএফআইয়ের অভিযোগ, সেই সময় কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হারুন রসিদ খান ওই ছাত্রীকে কটূক্তি করেন। ঘটনার প্রতিবাদ জানান ওই ছাত্রীর স্বামী। তখন তাঁকেও চড় মারার অভিযোহ উঠেছে ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই ছাত্রী বলেন, “ওই ব্যক্তি আমাকে কটূক্তি করেন। আমার স্বামী প্রতিবাদ জানালে বহিরাগত তৃণমূলের লোকজন দিয়ে কলেজের মধ্যে তাঁকে মারধর করা হয়।” যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত হারুণ রসিদ খান বলেন, “ওই ছাত্রীর স্বামী কে আমি জানি না। একজন বহিরাগত ঢুকছে দেখে আমি অনুমতি আনতে বললে আমাকে ধাক্কা মেরে ঢুকে যায় ওই যুবক।”
যদিও ঘটনার কথা স্বীকার করে খড়্গপুর-১ ব্লকের সভাপতি শক্তি মণ্ডল বলেন, “জোর করে ওই প্রার্থীর স্বামী কলেজে ঢুকতে চেয়েছিলেন। তখন হারুন রসিদ খান তাঁকে বাধা দিতে গিয়ে একটা চড় মেরেছে, এটা ঠিক। তবে ছাত্রীকে কটূক্তি করা হয়নি।” অবশ্য ঘটনার বিষয়ে এসএফআই জেলা সভাপতি সোমনাথ চন্দ বলেন, “টিএমসিপি ক্রমাগত আমাদের প্রার্থীদের হুমকি দিয়েছে কিন্তু এই ছাত্রী তা সত্ত্বেও মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় তাঁর উদ্দেশে কটূক্তি করেছে।” বৃহস্পতিবার এর প্রতিবাদে হিজলি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। তবে, এ দিনের ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুবিকাশ জানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy