পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৪ নভেম্বর মেদিনীপুরে সাংগঠনিক সভা করার কথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে তমলুকে দুই মেদিনীপুরের নেতৃত্বদের নিয়ে মঙ্গলবার প্রস্তুতি বৈঠক করলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
তৃণমূলের এক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক ঘণ্টার ওই বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী দুই মেদিনীপুরের নেতৃত্বের সাংগঠনিক দুর্বলতার দিকগুলি উল্লেখ করে সতর্ক করেন। বৈঠকে সুব্রতবাবু মন্তব্য করেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০১১ সালে দল ক্ষমতায় এসেছে। এই সাফল্যের পরে আমাদের মধ্যে একটা আত্মতুষ্টি কাজ করছে। আত্মতুষ্টি কাটিয়ে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। প্রয়োজন আরও জনসংযোগ।”
দলের রাজ্য সভাপতি জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে অঞ্চল নেতৃত্ব সপ্তাহের অন্তত চার-পাঁচ দিন গ্রামের মানুষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। ব্লক ও জেলা নেতৃত্বও সপ্তাহে অন্তত দু’তিন দিন এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলুন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও নিবিড় করেই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামী পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের পাশাপাশি বিজেপি যে তাঁদের অন্যতম বিরোধী দল হবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে জেলা নেতৃত্বকে সতর্ক করেন সুব্রতবাবু।
বৈঠকের পরে সুব্রতবাবু সাংবাদিকদের বলেন, “দলকে সংগঠিত করতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছচ্ছেন। এ বার তিনি দু’তিনটি জেলাকে নিয়ে একত্রে এক-একটি সভা করবেন।” তিনি স্পষ্ট করেন, “পঞ্চায়েত ও পুরসভায় যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তাঁদের এবং সাংসদ, বিধায়ক, দলের জেলা, ব্লক, অঞ্চল-শাখা স্তরের সভাপতিদের নিয়ে এই সভা হবে।” তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই সভায় দলনেত্রী বাংলার সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বার্তা দিতে পারেন।
এ দিন শহরের মানিকতলায় তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর সাংসদ কার্যালয়ে দলের এই বৈঠকে সুব্রত বক্সী ছাড়াও ছিলেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী, দীনেন রায়, পূর্বের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, পশ্চিমের জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, পরিষদীয় সচিব শঙ্কর দোলুই-সহ দুই জেলার কয়েক জন বিধায়ক ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ-সহ দলের ব্লক সভাপতি। তবে শিশির-শুভেন্দু অধিকারীদের বিরোধী শিবিরের বিধায়ক অখিল গিরি, রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সমবায় মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, হলদিয়ার বিধায়ক শিউলি সাহা, চণ্ডীপুরের বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্যরা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy