সবংয়ে ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে মানস ভুঁইয়া। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
কলেজে কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ, রক্তাক্ত রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার নিজের খাসতালুকে ছাত্র পরিষদের (সিপি) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই মানসবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে প্রমাণ দিতে হবে যে তাঁরা শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি চান না। মুখে বিবৃতি দেবেন চান না, অথচ কলেজ রক্তাক্ত হবে, এতে তো স্ববিরোধিতা!” তাঁর কথায়, “আমরা সিপিএম, সিটু, এসএফআইয়ের সমালোচনা করতাম, বলতাম ওরা গুন্ডার দল। পরিবর্তনের জন্য জোট করে ভোট করেছিলাম। এখন দেখছি প্রেক্ষাপট বদলায়নি।”
সিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এ দিন আগাগোড়া টিএমসিপি-র সমালোচনা করেছেন সবংয়ের বিধায়ক। সবংয়ের তেমাথানির একটি সিনেমা হলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মূলত সবং কলেজে সিপি-র পড়ুয়া-সদস্যরা যোগ দিয়েছিলেন। এসেছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, সিপি-র সবং কলেজ শাখা সভাপতি শ্যামল ওঝা, সবং কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নন্দন মান্না, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সৌগম সেন প্রমুখ। এ দিন তাঁদের সামনেই মানসবাবু স্মৃতিচারণা করে বলেন, “১৯৭০ সালের এই কলেজে ছাত্র পরিষদ ৪৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। ‘৯৫ সালে সবংয়ে ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানে শেষবার এসেছিলাম। এ বার কথা দিয়েছিলাম, তাই এলাম।” সিপি-র দুর্দিনে পাশে থাকা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ও তৃণমূলের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও সম্মান জানিয়েছেন মানসবাবু।
মানসবাবুর দাবি, ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার এক সাংসদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা কলেজের ছাত্রাবাসের জন্য অনুমোদন করিয়ে এনেছেন। তা ছাড়া সবংয়ে একটি মহিলা কলেজ ও আইটিআইয়ের প্রস্তাব সরকারের কাছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy