এ বার স্কুলে স্কুলে সৌর বিদ্যুত্ চালু করতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সৌর বিদ্যুত্ চালু হয়েছে। ফলে, বিদ্যুত্- ক্ষেত্রের খরচ কমেছে। তবে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের উদ্যোগে সৌর বিদ্যুত্ চালু করেছে। এ বার সরকারি উদ্যোগে তা চালু হতে চলেছে। জেলা পরিষদের বিদ্যুত্ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, “এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ভর্তুকিও দেবে। প্রাথমিক ভাবে আমরা জেলার চারটি স্কুলে সোলার প্ল্যান্ট করবো। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু স্কুলে সোলার প্ল্যান্ট করা হবে।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ নিয়ে ইতিমধ্যে এক বৈঠকও হয়েছে। জেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। যেখানে প্রকল্পের খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সোলার প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে ব্যয়ের ৭০ শতাংশ অর্থ দেবে রাজ্য সরকার। বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ জোগাবে সংশ্লিষ্ট স্কুল- কর্তৃপক্ষই। পরবর্তী সময়ে জেলায় একটি সোলার পাওয়ার স্টেশনও তৈরি করার ভাবনা রয়েছে। খেমাশুলিতে এই পাওয়ার স্টেশন তৈরি হতে পারে। এ নিয়ে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আপাতত সবং, পিংলা, ঝাড়গ্রাম এবং চন্দ্রকোনা, এই চারটি এলাকার চারটি স্কুলে সোলার প্ল্যান্ট তৈরি হবে। বিদ্যুত্ কর্মাধ্যক্ষের আশ্বাস, “যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত্ সংযোগ নেই। ফলে, প্রায়শই সমস্যা হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় প্রাথমিক- মাধ্যমিক- শিশুশিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮,৪০২টি। এরমধ্যে ৫,৭১৪টি প্রতিষ্ঠানই বিদ্যুত্হীন। পরিস্থিতি দেখে আগামী ছ’মাসের মধ্যে বিদ্যুত্হীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত্ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের বিদ্যুত্ কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “সোলার আলো থাকলে স্কুল- কর্তৃপক্ষও উপকৃত হবেন। বিদ্যুত্- খরচ বাঁচবে। ইতিমধ্যে মেদিনীপুরে এক বৈঠক হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে চারটি স্কুলে প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা পরীক্ষামূলক। পরে অন্যত্রও হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy