স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে খুন করার আভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতার নাম চম্পা মণ্ডল (২১)। বৃহস্পতিবার দাসপুর থানার টালিভাটা সংলগ্ন চককৃষ্ণবাটি গ্রামের ঘটনা। বুধবার রাতেই মৃতার বাবা পুলিশে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী সুধাম মণ্ডল পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে চন্দ্রকোনার কালাপাট গ্রামের কিঙ্কর বেরার মেয়ে চম্পার সঙ্গে দাসপুরের সুধাম মণ্ডলের বিয়ে হয়। সুধাম পেশায় সোনার কারিগর। তাঁদের একটি তিন বছরের ছেলেও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণ-সহ নানা কারণে গণ্ডগোল লেগেই থাকত। গত কয়েকদিন ধরেই অভিযুক্ত সুধাম বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য স্ত্রীর কাছে জোরাজুরি করছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু চম্পা আপত্তি করায় তাঁকে মারধরও করা হত। কিন্তু ছেলের মুখ চেয়ে তিনি সবকিছু মেনে নিতেন। স্বামীকে বুঝিয়ে তিনি সব কিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টাও করেন। বুধবার সকাল থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। ছেলেকে খাওয়ানোর পর স্বামীকে খেতে দিয়ে নিজে না খেয়েই শুয়ে পড়েন চম্পা। বিকেলের দিকে তাঁদের দু’জনের মধ্যে ফের গোলমাল শুরু হয়। তারপরেই চিৎকার শুরু করেন চম্পা। ঘটনার পর প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন চম্পার দেহ জ্বলছে। পুলিশে ঘটনার খবর দেওয়া হয়। মৃতার বাবা কিঙ্কর বেরার অভিযোগ, “জোর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে মেয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতোও সময় পেলাম না।” পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
যুবকের অপমৃত্যু। শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে কোলাঘাট থানার মারোবেড়িয়া গ্রামে। মৃতের নাম সইফুল্লা আহমেদ (৩৩)। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
কোলাঘাট থানার গোপালনগর এলাকার মারোবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সইফুল্লা গত মঙ্গলবার কোলাঘাটেরই ছাতিন্দা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। বুধবার সকালে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরেন তিনি। তারপরই বমি করতে থাকেন। পরিজন ও প্রতিবেশীরা তাঁকে প্রথমে কোলাঘাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানেই মারা যান সইফুল্লা।