জেলা কৃষি ভবনে বৈঠক
কোথাও ভুল হলে আঙুল তুলে বলবেন। শুধরে নেব। আপনারা তো সরকারের ভালর জন্যই বলবেন। কৃষি দফতরের অফিসারদের সংগঠনের এক সভায় এ ভাবেই পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের কৃষি দফতরের পরিষদীয় সচিব শুভাশিস বটব্যাল।
শুভাশিসবাবুর কথায়, “আমরা কৃষি পরিবারের সদস্য। কৃষি ক্ষেত্রে ভাল কাজের জন্য রাজ্য পুরস্কৃত হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। আপনারা ভাল ভাবে কাজ না করলে এটা হত না। আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি।” পরিষদীয় সচিব আরও বলেন, “কাজ করতে কী কী সমস্যা হচ্ছে, কী করলে আরও ভাল হয়, এ সব যত বেশি আলোচনা হবে, তত আমরা আমাদের ধারণাগুলো উন্নত করতে পারব।”
স্টেট এগ্রিকালচার্যাল টেকনোলজিস্টস্ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা রবিবার মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক গৌতমকুমার ভৌমিক, জেলা সম্পাদক স্বপন শাসমল। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে অফিসারদের দাবি-দাওয়ার কথা ওঠে। স্বপনবাবু জানিয়ে দেন, বেশ কিছু শূন্যপদ পূরণ না হওয়ায় বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের একাধিক পদের দায়িত্ব পালন করার অমানবিক দায় নিতে হচ্ছে। বিভিন্ন ব্লকে কৃষি দফতরের স্থায়ী অফিসও নেই।
তাঁর কথায়, “এ সব সত্ত্বেও সংগঠনের সদস্যরা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই কাজ করেন। গত বছর দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিপূরণের চেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।” বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরকারের সীমাবদ্ধতার দিকটি মনে করিয়ে দেন পরিষদীয় সচিব শুভাশিসবাবু। তাঁর কথায়, “আগের সরকারের অনেক দেনা ছিল। অনেক টাকা এখন দিল্লি কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তাই কিছু সমস্যা আছে।” তাঁর আশ্বাস, “সব ব্লকেই কৃষি দফতরের অফিস হবে। পূর্ত দফতর ভেটিং না করলে জেলা পরিষদ করবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হচ্ছে।”
পরিষদীয় সচিব বলেন, “রাজ্যে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করতে হয়। এখানের পরিস্থিতি আর পঞ্জাবের পরিস্থিতি এক নয়। পঞ্জাবে এক একজনের এক হাজার দেড় হাজার বিঘা জমি রয়েছে। আর এখানে এক একজনের চার পাঁচ বিঘা জমি রয়েছে। অনেকেই ঝুঁকির কথা ভেবে চাষে বৈচিত্র্য আনতে চান না।” বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মলবাবুও। তিনি বলেন, “আমরা বিকল্প চাষে জোর দিচ্ছি। সেই সব পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষককে উত্সাহিত করি, যা কৃষককে লাভের মুখ দেখায়। কিন্তু, কৃষিজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া কোনও পরিকল্পনাই এগোনো সম্ভব নয়। আপনাদের দাবিদাওয়া থাকলে জানাবেন। সরকারের যথাযথ জায়গায় নিশ্চিত ভাবেই তা পৌঁছনো হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy