Advertisement
E-Paper

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, মারধর

পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে তিন ভাইয়ের মধ্যে গণ্ডগোল। রবিবার খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার ওই ঘটনায় জখম বড়, মেজো, সেজো ভাই ও সেজো ভাইয়ের স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেজো ভাইয়ের স্ত্রী পুলিশে মেজো ভাই, তাঁর স্ত্রী, মেজো ভাইয়ের শ্যালক, শাশুড়ি ও এক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০৪

পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে তিন ভাইয়ের মধ্যে গণ্ডগোল। রবিবার খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার ওই ঘটনায় জখম বড়, মেজো, সেজো ভাই ও সেজো ভাইয়ের স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেজো ভাইয়ের স্ত্রী পুলিশে মেজো ভাই, তাঁর স্ত্রী, মেজো ভাইয়ের শ্যালক, শাশুড়ি ও এক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মেজো ভাইয়ের শ্যালক ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। হাসপাতালে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে মেজো ভাইয়ের স্ত্রী দাবি করেন, ভাসুর ও দেওররা আমার ওপর চড়াও হয়। তাঁরা ও তাঁদের স্ত্রীরা মিলে আমাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে। আমার মা পুলিশে অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ উল্টে মা ও ভাইকে গ্রেফতার করে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশের দাবি, মেজো ভাইয়ের পক্ষ থেকে ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় রেল কর্মী তাঁদের বাবা খড়্গপুর শহরে কোয়ার্টারে থাকেন। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার বাড়িতে থাকে ওই ব্যক্তির তিন ছেলে। অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ওই ব্যক্তি তাঁর মেজো ছেলেকে নিজের ছেলে বলে মেনে নিতে অস্বীকার করেন। অথচ ভোটের পরিচয়পত্রে মেজো ছেলের বাবা হিসেবে তাঁরই পরিচয় রয়েছে। গণ্ডগোলের জেরে মেজো ভাইকে গ্রামীণ থানা এলাকার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য অন্য ভাইরা চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। কিন্তু মেজো ভাই বাড়ি ছেড়ে যেতে অস্বীকার করায় বিরোধের সূত্রপাত।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে বাড়িতে মেজো ভাইদের সঙ্গে অন্য ভাইদের গণ্ডগোল বাধে। সেই সময় মেজো ভাইয়ের ঘরের আসবাব ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। পুলিশে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ঘটনার কথা জানালে সাময়িক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ফের সন্ধ্যায় মেজো ভাইয়ের স্ত্রীকে অন্য ভাই ও তাঁদের স্ত্রীয়েরা মিলে বিবস্ত্র করে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারাও ছুটে আসেন। পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয় এক বাসিন্দা দাবি করেন, মেজো ভাইয়ের স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা আমরা পড়শিরা দেখেছি। পুলিশ ওদের অভিযোগ নেয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতেই সেজো ভাইয়ের স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় জখম সেজো ভাইয়ের অভিযোগ, “ও আমাদের পালিত ভাই। কিন্তু এখন আমাদের সমস্ত সম্পত্তি নিজে নিতে চাইছে। তাই সন্ধ্যায় হঠাৎ আমাদের ওপর কুড়ুল নিয়ে চড়াও হয়। আমাকে ও আমার দাদাকে মারধর করে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে।

kharagpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy