Advertisement
১৮ মে ২০২৪

১২ বছর পর চার রাস্তার দায়িত্ব হস্তান্তর

জেলা ভাগের ১২ বছর পরে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি পাকা রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পশ্চিম মেদিনীপুরের পূর্ত দফতরের হাত থেকে জেলার হাতে এল। পূর্ব মেদিনীপুরের চারটি পাকা রাস্তার দায়িত্ব জেলা পূর্ত দফতরের অধীনে আসায় রাস্তাগুলি দেখভালের কাজে প্রশাসনিক ভাবে সুবিধা হবে বলে দাবি দফতরের কর্তাদের।

ময়না-বলাইপণ্ডা সড়কের দায়িত্বও এ বার পূর্বের হাতে। —নিজস্ব চিত্র।

ময়না-বলাইপণ্ডা সড়কের দায়িত্বও এ বার পূর্বের হাতে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৩০
Share: Save:

জেলা ভাগের ১২ বছর পরে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি পাকা রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পশ্চিম মেদিনীপুরের পূর্ত দফতরের হাত থেকে জেলার হাতে এল। পূর্ব মেদিনীপুরের চারটি পাকা রাস্তার দায়িত্ব জেলা পূর্ত দফতরের অধীনে আসায় রাস্তাগুলি দেখভালের কাজে প্রশাসনিক ভাবে সুবিধা হবে বলে দাবি দফতরের কর্তাদের।

জেলা পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা গঠনের পরেও জেলার পটাশপুর থেকে বাঙুরচক সড়ক (১১ কিলোমিটার), কোলাঘাট-জশাড় সড়ক (৯.৫ কিলোমিটার), ময়না থেকে বলাইপণ্ডা সড়ক (৯ কিলোমিটার), পাঁশকুড়া-যশোড়া (ঘাটালগামী) ৯ কিলোমিটার রাজ্য সড়ক পূর্ত দফতরের মেদিনীপুর হাইওয়ে ডিভিশনের অধীনে ছিল। ওইসব সড়ক মেরামতির কাজ দেখভাল করত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতর। কয়েক বছর আগেই জেলার মধ্যে থাকা এইসব সড়কগুলিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরের অধীনে আনার জন্য প্রশাসনিকভাবে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্য পূর্ত দফতর জেলার ওইসব সড়কগুলির মধ্যে পটাশপুর-বাঙুরচক সড়ক, ময়না-বলাইপণ্ডা সড়ক দু’টিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরের (তমলুক হাইওয়ে ডিভিশন) অন্তর্ভুক্ত করেছে।

কোলাঘাট-জশাড়, পাঁশকুড়া-যশোড়া সড়কটিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরের (তমলুক হাইওয়ে ডিভিশন ) নির্বাহী বাস্তুকার চন্দন পানিগ্রাহী বলেন, “আমাদের জেলার মধ্যে থাকা পূর্ত দফতরের কিছু পাকা রাস্তা জেলা পূর্ত অধীনের ছিল না। ওইসব রাস্তার দেখভাল করত পূর্ত দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশন। জেলার ওই পাকা রাস্তাগুলিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ্য পূর্ত দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্য পূর্ত দফতর তা মঞ্জুর করেছে।” তিনি জানান, এর ফলে ওইসব রাস্তা মেরামতি, রক্ষণাবেক্ষণ-সহ বিভিন্ন কাজে প্রশাসনিকভাবে সুবিধা হবে।

জেলা পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে জেলা ভাগের পর ময়না থেকে বলাইপণ্ডা পর্যন্ত মেদিনীপুরগামী সড়কের ৯ কিলোমিটার অংশ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে থাকলেও ওই সড়কের মেরামতি-সহ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দেখভাল করত পূর্ত দফতরের মেদিনীপুর হাইওয়ে ডিভিশন। একইভাবে, জেলার পটাশপুর থেকে বাঙুরচক পর্যন্ত বালিচকগামী রাজ্য সড়কের ১১ কিলোমিটার অংশ, কোলাঘাট- জশাড় রাজ্য সড়ক (৯.৫ কিলোমিটার), পাঁশকুড়া-যশোড়া সড়ক (ঘাটালগামী) দেখভাল করত পূর্ত দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশন। ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে থাকলেও ওইসব পাকা রাস্তাগুলির মেরামতি বা উন্নয়নের দাবি নিয়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের দাবি জানাতে প্রশাসনিকভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরে যেতে হত। রাস্তা মেরামতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা মেটাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরের তরফে সড়কের ওই অংশগুলিকে প্রশাসনিকভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।

রাজ্য পূর্ত দফতর ও দুই জেলার পূর্ত দফতরের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে এবিষয়ে আলোচনাও হয়। এরপরেই রাজ্য পূর্ত দফতর ওইসব রাস্তার প্রশাসনিক হস্তান্তর নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরকে এবিষয়ে অনুমোদন দেয়। এর ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে থাকা ওইসব পাকা সড়ক মেরামতি-সহ বিভিন্ন উনয়নের কাজে সুবিধা হবে দাবি জেলা পূর্ত দফতরের। জেলা পূর্ত দফতর (হাইওয়ে ডিভিশন) সূত্রে জানা গিয়েছে, পটাশপুর-বাঙুরচক সড়ক ও ময়না-বলাইপণ্ডা সড়ক প্রশাসনিকভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতরের হাতে এলেও কয়েকমাস আগে পূর্ত দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশন ওই দু’টি সড়ক মেরামতির কাজ করেছিল। তাই আপাতত তিন বছর ওই রাস্তা মেরামতির কাজ আপাতত তাঁরা দেখাশোনা করবে। জেলা পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট-জশাড় রাজ্য সড়ক কয়েকবছর আগে সম্প্রসারণের কাজ শুরু হলেও এখনও তা অসম্পূর্ণ রয়েছে। ওই কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য রাস্তার বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tamluk 12 years road mayna-balaipanda road
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE