বিদ্যাসাগর বালক বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিদ্যাসাগর মূর্তিতে মাল্যদান করছেন সাংসদ সন্ধ্যা রায়। নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষাই মূলমন্ত্র। শিক্ষা ছাড়া জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এমনটাই মনে করেন মেদিনীপুরের সাংসদ-অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। শুক্রবার মেদিনীপুরে এসে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ছাত্রছাত্রীদের ভাল করে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর কথায়, “শিক্ষা বুদ্ধির বিকাশ ঘটায়। লেখাপড়া শিখতে হবে প্রতিটি মানুষকে। শিক্ষাই হল মূলমন্ত্র।”
সন্ধ্যাদেবীর প্রথাগত শিক্ষা নেই। তাঁর ছোটবেলা কেটেছে অত্যন্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে। এ দিন নিজের বক্তব্যে তা জানিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “লেখাপড়ার মূল্য কী আজ বুঝতে পেরেছি। আমার বেশি লেখাপড়া করার সৌভাগ্য হয়নি। যতটা যাওয়ার কথা ছিল, ততটা যেতে পারিনি। তবে মানুষ আমাকে ভালবেসেছে। এটাই আমার প্রাপ্তি।”
শুক্রবার সকালে মেদিনীপুর শহরে আসেন সন্ধ্যাদেবী। যোগ দেন দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে। প্রথমে যান শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে (বালক)। বিদ্যালয়ের এ দিন ১৭০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্যাপন হয়। এই উপলক্ষে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ। ছিলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা, মেদিনীপুর আদালতের জিপি সুকুমার পড়্যা, শহরের উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস, স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক মৃণাল চৌধুরী প্রমুখ। পরে সাংসদ যান রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে (গোপ কলেজ)।
কলেজে এ দিন ৫৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্যাপন হয়। এই উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরেন্দ্রনাথ মাহাতো, কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য অগমপ্রসাদ রায়, অধ্যক্ষা কৃষ্ণা মাইতি প্রমুখ। দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন উন্নয়ন নিগমের সভাপতি দীনেন রায়, জেলা পরিকল্পনা কমিটির সহ-সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ।
১৯৫৭ সালের ২২ অগস্ট মেদিনীপুর মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৬১ সালের ২২ অগস্ট কলেজটির নাম পরিবর্তন হয়ে রাজা মহেন্দ্রলাল খান মহিলা কলেজ নাম হয়। সেই সময় কলেজে ন’জন ছাত্রী ছিলেন। এখন সেই কলেজেই ছাত্রী সংখ্যা ২৫০০এরও বেশি। কলেজের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান এবং নবনির্মিত একটি ভবনের দ্বারোদ্ঘাটনও করেন সন্ধ্যাদেবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy