Advertisement
E-Paper

৭৪ গোলাপে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, আপ্লুত সন্ধ্যা

নিরিবিলিতে আরও একটা জন্মদিন কাটিয়ে দিলেন বাংলা সিনেমার এক সময়ের ‘গ্ল্যামার-ক্যুইন’ সন্ধ্যা রায়। শুক্রবার ৭৪ বছরে পা রাখলেন তিনি। সন্ধ্যাদেবীর জন্ম ১৯৪১ সালের ১১ এপ্রিল। নবদ্বীপে। এদিন সকালটা কলকাতার বাড়িতেই কাটান তিনি। বিকেলে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা হন। সন্ধ্যায় শহরে আসেন। শহরের ভাড়া বাড়িতে পৌঁছনো মাত্রই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০২
মিষ্টি-মুখ। মেদিনীপুরে রামপ্রসাদ সাউয়ের তোলা ছবি।

মিষ্টি-মুখ। মেদিনীপুরে রামপ্রসাদ সাউয়ের তোলা ছবি।

নিরিবিলিতে আরও একটা জন্মদিন কাটিয়ে দিলেন বাংলা সিনেমার এক সময়ের ‘গ্ল্যামার-ক্যুইন’ সন্ধ্যা রায়। শুক্রবার ৭৪ বছরে পা রাখলেন তিনি। সন্ধ্যাদেবীর জন্ম ১৯৪১ সালের ১১ এপ্রিল। নবদ্বীপে। এদিন সকালটা কলকাতার বাড়িতেই কাটান তিনি। বিকেলে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা হন। সন্ধ্যায় শহরে আসেন। শহরের ভাড়া বাড়িতে পৌঁছনো মাত্রই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। অভিনেত্রীর হাতে ৭৪টি গোলাপের একটি স্তবক তুলে দেন। সঙ্গে এক প্যাকেট মিষ্টি। দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুতও হন সন্ধ্যাদেবী। তৃণমূলের ছাত্র নেতা সুশোভন মাইতি বলছিলেন, “আমরা ওঁনার সুস্থ জীবন কামনা করেছি।” উৎসাহী কয়েকজন কর্মী এদিন সন্ধ্যাদেবীর নামে মেদিনীপুরের সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পুজোও দেন। শহরের তৃণমূল কর্মী রতন চক্রবর্তীর কথায়, “দিদি এত বছর ধরে অভিনয় করছেন। উনি অত্যন্ত সহজ- সরল। রুচিশীল ব্যবহার। আমরা সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে ওঁনার দীর্ঘজীবন কামনা করেছি।” মহিলা তৃণমূলের শহর সভাপতি তথা মেদিনীপুর পুরসভার পুর-পারিষদ মৌ রায় এদিন অভিনেত্রীকে একটি শিবের মূর্তি উপহার দেন।

কী বলছেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী? ঘটা করে কোনও দিন জন্মদিন পালন করেননি সন্ধ্যাদেবী। এই দিনটা বছরের অন্যদিনের থেকে একটু আলাদা, এটুকুই। বাংলা সিনেমার এক সময়ের ‘গ্ল্যামার-ক্যুইন’ বলছিলেন, “এত বছর ধরে সিনেমা করেছি। কখনও সে ভাবে জন্মদিন পালন করিনি। আজও তাই। অন্যান বছর জন্মদিনগুলো যে ভাবে কাটিয়েছি, আজকের জন্মদিনটাও সে ভাবে কাটালাম।” এই বিশেষ দিনটিতে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকে। কলকাতার বাড়িতে ফুল-মিষ্টি পাঠিয়েছেন।

শুক্রবার সকালে স্নান করে চলে যান ঠাকুর ঘরে। ঈশ্বরের কাছে শুভকামনা করেন। আজকের দিনে কী প্রার্থনা করলেন? তাঁর কথায়, “ঈশ্বরের কাছে কামনা করেছি, সকলে যেন ভাল থাকেন। ঈশ্বর যেন সকলকে ভাল রাখেন।” সন্ধ্যাদেবীর জীবনটা আর পাঁচজন অভিনেত্রীর থেকে একটু আলাদা। ছোটবেলাটা কেটেছে কষ্টের মধ্য দিয়ে। অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারান। তারপর বাংলাদেশের যশোরে চলে যান মামাবাড়িতে। বছর কয়েক পর ফের কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন। অল্প বয়সে বাবা- মা মারা যাওয়ায় পড়াশোনাও অনিয়মিত হয়ে যায়। ১২ বছর বয়সে অভিনয় জীবন শুরু। কেন এলেন রাজনীতিতে? অভিনেত্রী প্রার্থীর নিজের কথায়, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তর দিয়ে ভালবাসি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে চুপ করে থাকতে পারিনি।”

barun de sanfdhya roy birthday
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy