বেআইনি বেটিং অ্যাপ-কাণ্ডে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে পৌঁছে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন মিমির আইনজীবী। কাগজপত্রও নিয়ে গিয়েছিলেন যাদবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। ইডি দফতরে প্রবেশের মুখে সাংবাদিকদের সামনে তেমন কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে বেরিয়ে এসে কথা বলবেন বলে গিয়েছেন।
মিমি-সহ বেশ কয়েক জনকে বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় তলব করেছে ইডি। রবিবারই সেই খবর প্রকাশ্যে আসে। তালিকায় বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রৌতেলাও রয়েছেন। সূত্রের খবর, মিমিকে সোমবার এবং উর্বশীকে মঙ্গলবার ডাকা হয়েছে। নির্ধারিত দিনেই মিমি হাজিরা দিলেন। ইডি দফতরের সামনে গাড়ি থেকে নামার পর সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘মিমি, আপনার কি কিছু বলার আছে?’’ অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি আসছি। এসে কথা বলছি।’’ আর কথা না বাড়িয়ে দফতরের দিকে এগিয়ে যান তিনি। তাঁর আইনজীবীর হাতে বেশ কিছু কাগজপত্র ছিল। দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাঁদের।
আরও পড়ুন:
ঠিক কী অভিযোগ মিমির বিরুদ্ধে?
অনলাইনে বেআইনি বেটিং অ্যাপের মামলার তদন্ত করছে ইডি। অভিযোগ, এই সমস্ত অ্যাপ বেআইনি ভাবে কর ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। প্রতারণা করা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও। মিমি-সহ একাধিক তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এই সমস্ত অ্যাপের হয়ে প্রচার করেছেন এবং সেখান থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। সে বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থা একের এক তারকাকে তলব করছে। এই মামলায় এর আগে ডাকা হয়েছে সুরেশ রায়না, শিখর ধবনের মতো ক্রিকেটজগতের তারকাদেরও। এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে মিমি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ইডি দফতরে একই মামলায় হাজিরা দেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ওপেনার শিখর। তাঁকে আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার আগে গত মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রায়নাকে। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে ক্রীড়া এবং বিনোদন জগতের আরও তারকাকে ডাকা হতে পারে দিল্লিতে।