পঞ্চসায়র গণধর্ষণ-কাণ্ডে ধৃত নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার রিপোর্ট কলকাতা পুলিশ হাতে পেল। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত নাবালককে ‘সাবালক’ হিসাবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই।
নীলরতন সরকার হাসপাতালের গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড ওই নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করেছে। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এ বার পঞ্চসায়র-কাণ্ডে দ্রুত চার্জশিটও দিতে চলেছে পুলিশ। ধৃত নাবালককে ‘সাবালক’ হিসেবে বিবেচনা করে বিচার করার জন্য কলকাতা পুলিশ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে আবেদন করে। দ্রুত ওই নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল বোর্ড। সেই রিপোর্টই জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে জমা দেবে লালবাজার। ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর জুভেনাইল জাস্টিস কোর্ট ঠিক করবে, তাকে সাবালক হিসাবে গণ্য করা হবে কিনা।
গত ১১ নভেম্বর রাতে পঞ্চসায়রের একটি হোম থেকে বেরিয়ে গণধর্ষিতা হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এক মহিলা। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে উত্তম রাম নামে এক ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে বয়ানের অসঙ্গতিতে উঠে আসে এক নাবালকের প্রসঙ্গ। তাকেও ওই গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার রাতে গাড়িতে ছিল সে। এর পরেই তাকে ‘সাবালক’ হিসাবে বিবেচনা করে বিচার করার জন্য জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে আবেদন করে লালবাজার। তার পরিপ্রেক্ষিতে ওই নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিচার করে রিপোর্ট দিতে বলেছিল বোর্ড।