Advertisement
E-Paper

সংখ্যালঘু উন্নয়নে মমতার ‘ব্যর্থতা’ই অস্ত্র কংগ্রেসের

উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ না করা নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নামছে প্রদেশ কংগ্রেস। আগামী ১৯ অগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সংখ্যালঘু সম্মেলনে গোটা কংগ্রেসের সমস্ত সংগঠনই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৭

উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ না করা নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নামছে প্রদেশ কংগ্রেস। আগামী ১৯ অগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সংখ্যালঘু সম্মেলনে গোটা কংগ্রেসের সমস্ত সংগঠনই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে। বাম জমানার ৩৪ বছরে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আর্থিক ও সামাজিক বঞ্চনা এবং তার পরের চার বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে শুধুই প্রতিশ্রুতি ও ঘোষণা— এই ছবিতে তুলে ধরেই সংখ্যালঘু মন জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

সংখ্যালঘুদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মনোভাব ঠিক কেমন, তার প্রকৃত ছবি তুলে ধরতে সোমবার বিধানসভার সংখ্যালঘু বিষয়ক স্থায়ী কমিটির রিপোর্টকে অস্ত্র করেছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মানস ভুঁইয়া। ওই কমিটির চেয়ারম্যান তৃণমূলেরই বিধায়ক এম নুরুজ্জামান। শাসক দলের বিধায়কের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে মানসবাবু এ দিন বলেন, ‘‘এখানেই দেখানো আছে, সংখ্যালঘু উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে প্রায় ৮৯% তহবিল অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই টাকা খরচ হয়েছে ০%! যেখানে উন্নয়নের টাকাই খরচ হয় না, সেখানে ৯০%-৯৫% কাজ করে ফেলার ঘোষণা কী করে হয়?’’ প্রদেশ সংখ্যালঘু শাখার চেয়ারম্যান খালেদ এবাদুল্লা বলেন, ‘‘তৃণমূল স্তরে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের গতি কী, এ বারের ইদের নমাজে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই সেই কথা বলে দিয়েছেন ইমামেরা।’’

বস্তুত, সংখ্যালঘুদের ক্ষোভের ফায়দা তোলার জন্যই রাজ্য কংগ্রেসের এই সম্মেলনের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বও। খালেদকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন এআইসিসি-র সংখ্যালঘু শাখার চেয়ারম্যান খুরশিদ সৈয়দ আহমেদ। দিল্লিতে আলোচনা সাপেক্ষেই ঠিক হবে, নেতাজি ইন্ডোরের সম্মেলনে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে কারা উপস্থিত থাকবেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই দলের জেলা সভাপতিদের ওই সম্মেলনে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। বিধান ভবনে মানসবাবুদের পাশে বসে মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী কবিতা রহমান এবং আইএনটিইউসি-র রমেন পাণ্ডেও জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠন সংখ্যালঘু সম্মেলনে সক্রিয় ভাবে অংশ নেবে। একই ভূমিকা নেবে যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদও। যার ফলে সংখ্যালঘু সম্মেলন ঘিরে রীতিমতো শক্তিপরীক্ষায় নামবে কংগ্রেস।

বিধান ভবনে বসেই এ দিন প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে বলেন, ‘‘যাঁরা নিজেদের সংখ্যালঘুদের পাহারাদার বলে দাবি করেন, তাঁরা আগে ওঁদের জন্য শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করুন! এই ব্যাপারে প্রকৃত পরিস্থিতিই সংখ্যালঘু সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।’’ প্রসঙ্গত, এআইসিসি-র তরফে এ দিনই ঘোষণা করা হয়েছে, এ রাজ্য থেকে ইন্দ্রাণী মিশ্রকে (বিগত লোকসভা ভোটে আসানসোলের প্রার্থী) সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে উন্নীত করে তাঁকে উত্তর-পূর্ব ভারতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Minority development congress Trinamool BJP INTTUC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy