E-Paper

এন্টালিতে সন্ত টেরিজার স্মৃতিজড়িত বস্তির একাংশে লিজ মালিকানা পেল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি

এন্টালিতে এখনও মিশনারিজ় অব চ্যারিটির স্কুলে ছোটরা পড়াশোনা, নাচ, গান এবং বড়রা সেলাই শেখেন। সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও এ দিন মতিঝিলে এসেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪৬
মাদার টেরিজ়ার স্মৃতিবিজড়িত এন্টালির মতিঝিল বস্তির স্কুলে সিস্টার মেরি জোসেফ। সঙ্গে ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

মাদার টেরিজ়ার স্মৃতিবিজড়িত এন্টালির মতিঝিল বস্তির স্কুলে সিস্টার মেরি জোসেফ। সঙ্গে ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

৭৫ বছর আগে শহরের এক বস্তির হতশ্রী চেহারা জানলা দিয়ে দেখতেন পাশে এন্টালির লরেটো স্কুলের ইউরোপীয় শিক্ষয়িত্রী এক তরুণী। এক দিন বিশপের অনুমতি নিয়ে সেই মতিঝিল বস্তির ঘর থেকেই সকলের সহায়তায় একটি স্কুল খুললেন তিনি। মাদার টেরিজ়ার সেবাকাজের সেই শুরু। বিশ্ববন্দিত সন্ত টেরিজ়ার স্মৃতিজড়িত মতিঝিল বস্তির একাংশে এত দিনে লিজ়-মালিকানা পেল মিশনারিজ় অব চ্যারিটি।

রবিবার প্রতিষ্ঠানের সুপিরিয়র জেনারেল সিস্টার মেরি জোসেফ ওই ঘরে এসেছিলেন। বিশ্বের নানা প্রান্তে মা টেরিজ়ার প্রতিষ্ঠানের হয়ে সেবাকাজের পরে সিস্টার জোসেফও এন্টালির বস্তিতে তিন বছর বসবাস করেছেন। তাঁর কাছে তা জীবনের স্মরণীয়তম অধ্যায়। সিস্টার জোসেফ এ দিন বলেছেন, “২০১৬-১৯ এই মতিঝিলে দারিদ্র কাকে বলে তা নিজের জীবন দিয়ে অনুভব করেছি। ঝড়, জলের মধ্যে বস্তিতে থেকে গরিব, দুঃখীর সেবায় নিজেকে শুদ্ধ করতে চেয়েছি।”

এন্টালিতে এখনও মিশনারিজ় অব চ্যারিটির স্কুলে ছোটরা পড়াশোনা, নাচ, গান এবং বড়রা সেলাই শেখেন। সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও এ দিন মতিঝিলে এসেছিলেন। রাজ্য প্রশাসনের মাধ্যমে বস্তির একাংশের মালিকানা পেতে সাহায্য করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান সন্ন্যাসিনীরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Missionaries of Charity Mother teresa Entally

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy