ফাইল চিত্র।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া ও দল থেকে সাসপেন্ড করার পর কি তৃণমূল নেতৃত্ব শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটতে চাইছেন? সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে আমন্ত্রিতদের তালিকা দেখে এমন প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাচক্রে, সোমবার নিজের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলের কোচবিহার ও নদিয়া জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। সেই বৈঠকে জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান, শাখা সংগঠনের প্রধান ও বিধায়কদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই তালিকায় ছিলেন না পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ও তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। নদিয়া জেলার বৈঠকে ডাক পাননি মানিক ও তাপস।
প্রসঙ্গত এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সিবিআই জেরার সম্মুখীন হয়েছেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক। পাশাপাশি আদালতকে নিজের ও পরিবারের অন্যদের সম্পত্তির পরিমাণও জানাতে হয়েছে তাঁকে। তেহট্টের বিধায়ক তাপসের বিরুদ্ধে আবার টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। অভিযোগকারী সরাসরি অভিষেককে চিঠি লিখে তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাই অভিষেকের এই বৈঠক থেকে এই বিধায়কদের বাদ যাওয়া ঘটনার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বাংলার রাজনীতিতে।
পার্থকে সাসপেনশনের সময় অভিষেক দাবি করেছিলেন, দল কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবে না। দলে যদি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁকেই নিষ্কলঙ্ক প্রমাণিত হয়ে আসতে হবে। রাজ্য তৃণমূলের এক মুখপাত্রের কথায়, ‘‘সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রয়াস নিয়েছেন অভিষেক। তিনি সেই পদক্ষেপেরই অঙ্গ হিসাবে পার্থকে সাসপেন্ড করেছেন। আর এই বৈঠকে মানিক ও তাপসকে না ডাকা কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলেই আমরা মনে করছি।’’ বাংলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই ঘটনাকে তৃণমূলের শুদ্ধিকরণ অভিযান হিসেবে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy