কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
কাগজে-কলমে এখনও তাঁরা কংগ্রেসের বিধায়ক। কিন্তু পরিষদীয় রাজনীতির বাইরে তাঁরা তৃণমূল। এইরকম যে ১৭ জন বিধায়ককে নিয়ে রাজ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের টানাপড়েন চলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড-মঞ্চে থাকবেন তাঁরাও। তাঁদের এই উপস্থিতি নিয়েই বিড়ম্বনায় পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
১৯ জানুয়ারির সমাবেশে জাতীয় স্তরের নেতাদের জন্যে ব্যাপক ব্রিগেড ময়দান ঘিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সেই কারণেই তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদ ও মন্ত্রীদের জন্যে আলাদা পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সেই পরিচয়পত্র বিলি করা হয়েছে তৃণমূলে যোগ দেওয়া দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়কদেরও। এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় দলত্যাগী এইরকম বিধায়কের সংখ্যা ২০। তাঁদের মধ্যে ১৭ বিধায়কই কংগ্রেসের। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই দলত্যাগবিরোধী আইনে মামলা চলছে বিধানসভায়। দলত্যাগীদের এই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানালেও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পরিষদীয়মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট করে কারও কথা বলতে পারব না। বিজেপি বিরোধী এই মঞ্চে মমতা সবাইকে চাইছেন।’’
তৃণমূলের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে ব্রিগে়ডে পাঠাচ্ছে কংগ্রেস। তবে রাজ্য রাজনীতির দায় থেকেই তৃণমূলের এই সমাবেশ নিয়ে ‘মুখ ঘুরিয়ে’ রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। এই অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে ফের সরব কংগ্রেস পরিষদীয় দল। বিধানসভায় দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর বলেন, ‘‘দলত্যাগীরা ব্রিগেডে গেলে প্রমাণের আর কিছু বাকি থাকবে না। ওই সভার রাজধর্ম পালন করে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করা উচিত স্পিকারের।’’ এদিন তৃণমূলের পরিষদীয় দলের কাছ থেকে নিজের পরিচয়পত্র বাগদার বিধায়ক দুলাল বর ও কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক কানাই মন্ডলের পরিচয়পত্রও নিয়ে গিয়েছেন অপূর্ব। তিনি অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড আর অরুণাচলও শামিল ব্রিগেডে
এই পরিচয়পত্র ছাড়া বিধায়কদেরও সভায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে কথা সব বিধায়ককেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ ও আগামিকাল বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের দফতর থেকে তাঁদের তা সংগ্রহ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy