মোদীর সভায় শামিয়ানা ভাঙার পরে। নিজস্ব চিত্র
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় শামিয়ানা-কাণ্ড ঘটে গেলেও সম্ভবত ব্যবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না বিজেপিতে। দলীয় সূত্রের খবর, আগামী ১১ অগস্ট কলকাতায় অমিত শাহের সভাতেও মঞ্চ তৈরির দায়িত্ব পাবেন রাজ্য বিজেপির একাংশের ‘কাছের লোক’ রাজীব কুমার সিংহ। শুধু তা-ই নয়, মঞ্চ তৈরির তত্ত্বাবধান করবেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তবে এ বার সম্ভবত আর দর্শকাসনের উপরে শামিয়ানা তৈরির ‘ঝুঁকি’ নেওয়া হবে না!
মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দর্শকাসনের উপরে শামিয়ানা তৈরির বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল দলের অন্দরে। কোনও কোনও নেতা রাঁচী থেকে ডেকরেটর আনার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত রাজুর তত্ত্বাবধানে কাজ করেছিলেন কলকাতার ডেকরেটর রাজীব। এবং তার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে পরবর্তী কালে দলের ভিতর ও বাইরে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে। কেন্দ্রও বিষয়টি নিয়ে জবাবদিহি চেয়েছে বলে খবর। কিন্তু এত কিছুর পরেও সর্বভারতীয় সভাপতির সভায় ব্যবস্থার বদল ঘটবে না বলেই খবর। যদি না শেষ মুহূর্তে কেন্দ্র কোনও নির্দেশ দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিপর্যয়ের পরে বর্ষায় আর খোলা জায়গায় সভা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। ফলে, অমিতের সভা নেতাজি ইন্ডোরে করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। দলীয় সূত্রের খবর, অমিত বন্ধ জায়গায় সভা করতে চাননি। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং যুব মোর্চার তরফে ৫টি সম্ভাব্য জায়গার তালিকা পাঠানো হয়েছে দিল্লিকে। শ্যামবাজার মোড়, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, মেয়ো রোড, শহিদ মিনার এবং ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের রাস্তা। যদিও ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভার অনুমতি আদৌ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে বিজেপির অন্দরে। এর আগে ২০১৪ সালে অমিতের সভা হয়েছিল সেখানে। কিন্তু তার জন্য শেষ মুহূর্তে আদালত থেকে বিশেষ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।
দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কাল, মঙ্গলবার বৈঠকে বসবে রাজ্যের যুব মোর্চা। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। যুব মোর্চার এক নেতার কথায়, ‘‘রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় যুব মোর্চার পরিদর্শক। ফলে, নিয়মমতো তাঁর দায়িত্বেই মঞ্চ তৈরি হওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত তেমনই ঠিক আছে।’’ ওই নেতার আরও বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর সভার ঘটনা নিছকই ‘দুর্ঘটনা’। তার জন্য পুরনো ডেকরেটর রাজীবকে সরানোর কোনও প্রশ্ন নেই। তবে এ-ও ঠিক, মেদিনীপুরে মোদীর সভায় শামিয়ানা ভেঙে পড়ার পরে অমিতের সভা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। সেই কারণেই দফায় দফায় আলোচনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy