ফাইল ছবি।
জম্মু-কাশ্মীরের রামবানে সুড়ঙ্গ ভেঙে পড়ে দশজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ন’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। পেটের দায়ে সুদূর কাশ্মীরে গিয়েছিলেন তাঁরা। কথা ছিল, রোজগারের টাকা নিয়ে ঘরে ফিরবেন। কিন্তু সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনা কেড়ে নিল তাজা প্রাণ। এ বার বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় কফিনবন্দি মৃতদেহ। গ্রামে শোকের ছায়া।
সুধীর রায়, পরিমল রায় এবং দীপক রায়— গ্রামের আরও কয়েক জনের মতো তাঁরাও কাশ্মীরে গিয়েছিলেন কাজ করতে। বস্তুত, বাংলায় বিভিন্ন জেলা থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়ার চল আজকের নয়। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না সুধীর, পরিমল, দীপকদের। আচমকা ধসে পড়ে রামবান জেলায় জাতীয় সড়কের উপর নির্মীয়মান সুড়ঙ্গের একটি অংশ। তাতেই চাপা পড়ে যান সুড়ঙ্গে কর্মরত অন্তত দশ জন কর্মী। সকলেই নির্মাণকারী সংস্থার হয়ে সুড়ঙ্গ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রবল বৃষ্টিতে ব্যহত হয় উদ্ধারকাজ। পরে একে একে বের হতে থাকে কর্মীদের মৃতদেহ।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘এখনও যা খবর, পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। রামবান জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ আছে। উদ্ধার হওয়া সকলেরই বাড়ি ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠি গ্রামে পঞ্চায়েতের চড়চড়াবাড়ি গ্রামে। আমরা সব রকম ভাবে পরিবারগুলোর পাশে আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy