নিকটাত্মীয় মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ায় উৎফুল্ল হয়েছিল বর্ধমানের লস্করদিঘির পরিবার। আশা ছিল, ইউনূসের হাত ধরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়বে। কিন্তু অশান্তি পিছু ছাড়ছে না সে দেশের। বুধবার ঢাকায় ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে শেখ মুজিবুর রহমানের বসতবাড়িতে তাণ্ডব চলে। পরিস্থিতি দেখে মন ভার বর্ধমানে ইউনূসের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের।
বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের লস্করদিঘির পশ্চিমপাড়ে ওই বাড়ির কালো লোহার দরজা বন্ধই ছিল। পরে ইউনূসের শ্যালক আসফাক হোসেন (এলাকায় বাবু মিঞা নামে পরিচিত) বলেন, ‘‘এখনও আশা রাখি, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়বে। দু’দেশের সম্পর্ক উন্নত হবে। প্রতিদিন ভোরে উঠে সে প্রার্থনাই করি।’’ তাঁর দাবি, দু’দেশের আত্মীয়-পরিজনের মধ্যে যোগাযোগ কার্যত বন্ধ। ভয়ে যাতায়াতও বন্ধ। তিনি বলেন, ‘‘আমি হৃদ্রোগে ভুগছি। বাংলাদেশের খবর দেখি না। মন খারাপ হয়ে যায়। চোখে জল আসে।’’
২০০৬ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পান ইউনূস। সে বছরই ১০ নভেম্বর বর্ধমানের শ্বশুরবাড়িতে সস্ত্রীক এসেছিলেন তিনি। এ দিন তাঁর শ্যালক গোটা পরিস্থিতির জন্য আমেরিকা ও ভারতের বর্তমান প্রশাসনকেও দুষেছেন। আসফাকের দাবি, ‘‘ট্রাম্প কাউকে ভাল থাকতে দেবেন না। এখানে কংগ্রেসের সরকার থাকলে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘দুই দেশের মধ্যে আলু, পেঁয়াজ-সহ নানা জিনিস আমদানি-রফতানিও তো বন্ধ হয়ে আছে। তাতে দু'দিকের অনেক মানুষেরই তো ক্ষতি হচ্ছে।"
বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইউনূস নোবেল পুরস্কারকে কলঙ্কিত করেছেন। তাঁর নিজেরই অস্তিত্ব নেই। তাঁর আত্মীয় কী বললেন, সে নিয়ে মন্তব্য করার প্রয়োজন দেখছি না।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)