Advertisement
E-Paper

মুকুল না এলেও কৈলাস ছুড়ে গেলেন চ্যালেঞ্জ

মুকুল যে আসছেন সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিলেন বিজেপি নেতারা। মাইকে প্রচারও চলছিল। বেলা এগারোটা নাগাদ কৈলাস আসার পরেও মাইকে শোনা গিয়েছে, ‘মকুল রায় রাস্তায়, আসছেন’, তাঁরা জানতে পারেননি যে মুকুল সকালেই গুজরাত উড়ে গিয়েছেন। 

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০০:২৬
কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফাইল চিত্র।

কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফাইল চিত্র।

শেষ পর্যন্ত এলেন না মুকুল রায়। সদ্য গেরুয়া উত্তরীয় গলায় ঝুলিয়েছেন মুকুল, তাঁকে দেখার জন্য কিছুটা বাড়তি উৎসাহ নিয়েই কর্মী সভায় এসেছিলেন দলীয় কর্মীরা। সামান্য হতাশাও বুঝি ঝরে পড়ল তাঁদের গলায়। তবে, এ দিন কর্মী সভায় মুকুলের সুরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিজেপি-র রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

শনিবার নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি-যুগপুর এলাকায় বিজেপি-র যুব মোর্চার বৈঠক ছিল। সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি জেলার নেতৃত্ব। আর ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস ও সুরেশ পুজারী। সেখানেই এ দিন কৈলাশ বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, বিশ্ববাংলার মালিকানা নিয়ে মুকুল যা বলেছেন, তা ফাঁকা আওয়াজ নয়। আমাদের কাছে সমস্ত নথিপত্র আছে। মুকুল রায় চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন যে বিশ্ববাংলার যাবতীয় কাগজ অভিষেকের নামে। মঞ্চে সেটা প্রকাশও করে দিয়েছেন তিনি।’’ তিনি জানান, রাজ্য সরকার এর বিরুদ্ধে মামলা করলে বিজেপি তাদের কাছে যা নথিপত্র রয়েছে তা নিয়ে আদালতে জমা দেবে।

এ দিন মুকুল যে আসছেন সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিলেন বিজেপি নেতারা। মাইকে প্রচারও চলছিল। বেলা এগারোটা নাগাদ কৈলাস আসার পরেও মাইকে শোনা গিয়েছে, ‘মকুল রায় রাস্তায়, আসছেন’, তাঁরা জানতে পারেননি যে মুকুল সকালেই গুজরাত উড়ে গিয়েছেন।

শুধু নাকাশিপাড়া নয় আশেপাশের ব্লক থেকে শুধু মাত্র মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বেশ কিছু যুবক। যারা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দেন। হতাশ তাঁরাও। বিজেপি-র নাকাশিপাড়া মন্ডল সভাপতি প্রবীর সরকার যেমন বলেন, “তৃণমূলের ভিতরে অনেক মুকুল রায় অনুগামী এ দিন এসে ছিলেন। কিন্তু মুকুলবাবু আসবেন না বলে তারা হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন।”

এ দিন বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যের সামনে একটি বেসরকারি লজে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কৈলাশ দলের যুব নেতাদের আরও গভীর ভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে দলকে আরও সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার জন্য নানান পরামর্শ দিয়ে যান।

এ দিন, কল্যাণীতে হরিণঘাটা গ্রামীণ মণ্ডলের ডাকে এসেছিলেন বিজেপি-র আর এক নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। জয় বলেন, ‘‘রাজ্যের মানুষ ডেঙ্গিতে ছটফট করছেন আর মুখ্যমন্ত্রী চলচ্চিত্র উৎসবে আনন্দ করে বেড়াচ্ছেন।’’

কৈলাস বিজয়বর্গীয় Kailash Vijayvargiya Mukul Roy BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy