Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Anubrata Mondal

ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন থেকে বাদ পড়েছিলেন আগেই, এ বার বীরভূমের পার্টি অফিস থেকে মুছে গেলেন অনুব্রত

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন ওই তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরের দেওয়ালের জানলার এক পাশে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য পাশে ছিল অনুব্রতের ছবি।

মুছে ফেলা হয়েছে অনুব্রতের ছবি। নানুরে হোসেনপুর তৃণমূল পার্টি অফিসে।

মুছে ফেলা হয়েছে অনুব্রতের ছবি। নানুরে হোসেনপুর তৃণমূল পার্টি অফিসে। —নিজস্ব চিত্র।

অর্ঘ্য ঘোষ
নানুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩০
Share: Save:

দলীয় সভা, সমাবেশের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন থেকে আগেই বাদ পড়েছিল জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম ও ছবি। এ বার দলীয় কার্যালয় থেকেও মুছে ফেলা হল তাঁর নাম ও ছবি। নানুর ব্লকের নওয়ানগর-কড্ডা পঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রাম কমিটির কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূলের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে। কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরাও। ঘটনাচক্রে এই নানুরই বর্তমান জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন ওই তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরের দেওয়ালের জানলার এক পাশে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য পাশে ছিল অনুব্রতের ছবি। ছবির নীচে লেখা ছিল ‘অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ’। শুক্রবার দেখা যায় দলনেত্রীর ছবি এবং ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ লেখা থাকলেও অনুব্রতের ছবি ও নীচের লেখা সাদা রং দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

তৃণমূলের নানুর ব্লকের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। দলের অন্দরের খবর, সুব্রত এক সময় অনুব্রতের ‘খাসলোক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই এক সময়ে অনুব্রতের ঘোর বিরোধী হিসাবে পরিচিত কাজল শেখের সঙ্গে সুব্রতের বনিবনা ছিল না। তৃণমূল সূত্রে খবর, অনুব্রত জেলে যাওয়ার পরে সুব্রত ধীরে ধীরে কাজলের ‘লোক’ হিসাবে পরিচিত হন স্থানীয় রাজনীতিতে। সেই সুব্রতের এলাকাতেই দলীয় কার্যালয়ে মুছে গেল জেলা সভাপতির ছবি!

অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কিছু নেতা মনে করাচ্ছেন, সরকারি হোক বা দলীয় কোনও কর্মসূচি, অনুব্রতের ছবি থাকা এক প্রকার দস্তুর ছিল জেলায়। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরে যত দিন গিয়েছে, ততই ‘ফিকে’ হয়েছে কেষ্টদার প্রভাব। সেটাই আবার দেখা গেল হোসেনপুরে। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা বুঝে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের শাস্তি অনিবার্য। সে জন্যই তাঁকে ছেঁটে ফেলতে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রতের দাবি, ‘‘পার্টি অফিসে রং করার জন্যই ওই ছবি মোছা হয়েছে। পরে আবার আঁকিয়ে নেওয়া হবে।’’ দলীয় কার্যালয়ের রং অবশ্য চোখের দেখায় পুরনো বলে মনে হয় না। জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত আব্দুল কেরিম খান বলেন, ‘‘কাজটা ঠিক হয়নি। দল যা ভাল বুঝবে করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mondal TMC Cow Smuggling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE