Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৌচাগার স্বচ্ছ নয়, শুনল নাক

কোনও বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে পঠনপাঠন-গবেষণায় সাফল্য বা ঘাটতির কথা ওঠে স্বাভাবিক ভাবেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের পরিদর্শনে তা উঠলও। সেই সঙ্গে উঠল ওই প্রতিষ্ঠানের শৌচাগারগুলি অপরিচ্ছন্নতার কথা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:২৩
Share: Save:

কোনও বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে পঠনপাঠন-গবেষণায় সাফল্য বা ঘাটতির কথা ওঠে স্বাভাবিক ভাবেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের পরিদর্শনে তা উঠলও। সেই সঙ্গে উঠল ওই প্রতিষ্ঠানের শৌচাগারগুলি অপরিচ্ছন্নতার কথা। উঠল হস্টেল পরিষেবার আরও উন্নতির প্রসঙ্গও।

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বা নাক-এর প্রতিনিধিরা এখন রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে তাদের গ্রেড বা র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণ করছেন। প্রেসিডেন্সি ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে ইতিমধ্যেই তাদের নম্বর দিয়েছেন তাঁরা। সোমবার পরিদর্শন শুরু হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শতাব্দী-প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন নাক-সদস্যেরা। পঠনপাঠনের মান এবং সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো পরীক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক, প্রাক্তনী এবং ছাত্রছাত্রীদের মতামত যাচাই করছেন তাঁরা।

নাক-এর পরিদর্শকেরা এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে প্রতিটি বিভাগের পড়ুয়া-প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন সম্পর্কে খুঁটিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি ছাত্রাবাস, শৌচাগারের বিষয়ে প্রশ্ন করেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত ও শৌচাগার কর্মসূচি দেশ জুড়ে সাড়া ফেলেছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ শৌচাগারের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় পরিদর্শকদের কাছে। তাঁদের প্রশ্নের জবাবে পড়ুয়াদের তরফে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৌচাগার সকালের দিকে কমবেশি পরিচ্ছন্ন থাকে। কিন্তু সারা দিন পরিচ্ছন্ন থাকে না। তেমন ব্যবস্থাই করা হয়নি।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট বা নিয়োগ সেল এই মুহূর্তে বিশেষ সক্রিয় নয়। সেই বিষয়েও নাক-প্রতিনিধিদের প্রশ্ন ছিল বিস্তর। পড়ুয়ারা তাঁদের জানান, কর্মসংস্থানের দিশা দেখানোর জন্যই অবিলম্বে দরকার সক্রিয় প্লেসমেন্ট সেল। মান উন্নয়নের তাগিদেই বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা ধরনের বিনিময় কর্মসূচি প্রয়োজন। কিন্তু কলকাতায় সেই সুযোগ-সুবিধে পর্যাপ্ত নয় বলে অনুযোগ-অভিযোগ আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র এ দিন জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে নাক-প্রতিনিধিদের বলা হয়, আরও বেশি করে ‘এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ দরকার।

নাক-পরিদর্শকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সভায় ছিলেন সংস্কৃত বিভাগের ছাত্রী লগ্নজিতা চক্রবর্তীও। তিনি জানান, পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিকে কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। কলকাতায় সেই সুযোগ-সুবিধেও তেমন নেই বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাসে যে ওয়াইফাই পরিষেবা নেই, পরিদর্শকদের তা জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের ঘরও ঘুরে দেখেন নাক-এর প্রতিনিধিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NAAC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE