Advertisement
E-Paper

খরচ না-হওয়া টাকা ফেরত চাইল নবান্ন

অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, যে সব দফতর ভাল কাজ করেছে, তাদের ১০০% টাকা খরচের অনুমতি আগেই দেওয়া হয়েছে।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৫
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

আর্থিক বছরের প্রথম ন’মাসে দরাজ ছিল অর্থ দফতর। ঢেলে টাকা পেয়েছে বিভিন্ন দফতর। বছরের শেষে এসে যে সব দফতর বরাদ্দ টাকা খরচ করতে পারেনি, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্নে। অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জারি করা এমন নির্দেশে কোথায় কত টাকা পড়ে রয়েছে তার হিসেব কষতে শুরু করেছে দফতরগুলি।

অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, যে সব দফতর ভাল কাজ করেছে, তাদের ১০০% টাকা খরচের অনুমতি আগেই দেওয়া হয়েছে। বাকি দফতরগুলির জন্য মোট বরাদ্দের ৯০ ভাগ খরচের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক দফতরই ৩১ মার্চের মধ্যে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারবে না। আবার এমন কিছু দফতর রয়েছে, যাদের বাজেটের পুরো টাকা খরচের পরেও বাড়তি বরাদ্দ লাগবে। তাই অর্থ দফতর কম খরচ করা দফতরগুলি থেকে টাকা নিয়ে সফল দফতরগুলিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নবান্নের খবর, গত ১৯-২২ নভেম্বর রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি ধরে ধরে পর্যালোচনা করেছেন মুখ্যসচিব মলয় দে। তার পরেই খরচ না-হওয়া টাকা ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থসচিব বিভিন্ন দফতরকে জানিয়েছেন, দফতরের সচিবরা ঠিক করবেন অর্থবর্ষের শেষ চার মাসে তাঁরা সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ করতে পারবেন। তা ধরে রেখে বাকি সমস্ত টাকা অর্থ দফতরে ফেরত দিতে হবে।

নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, উন্নয়ন প্রকল্পে টাকা বরাদ্দে কখনওই কার্পণ্য করে না অর্থ দফতর। কিন্তু ভাণ্ডার তো সীমাহীন নয়। তার উপরে ‘কৃষক-বন্ধু’ প্রকল্পে খরচ হবে ৭০০০ কোটি টাকা। গত বাজেটে এই টাকা ধরা ছিল না। ফলে লোকসভা ভোটের আগে ওই প্রকল্প চালু করতে হলে টাকা জোগাড় করতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত আরও কিছু প্রকল্পেও বাড়তি অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। ফলে যে সব দফতরে এখনও কিছু টাকা রয়েছে, তাদের থেকে তা ফেরত নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কেননা, এ বছর এ বার ঋণের সুদ-আসল মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা শুধতে হচ্ছে রাজ্যকে। যার জেরে প্রতি মাসে ধার করতে হচ্ছে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকা। বেশ কিছু দফতর অবশ্য নবান্নের নির্দেশ না-মেনেই ইচ্ছামতো দেদার টাকা খরচ করেছে। সেই দফতরগুলিকে তলব করে আর্থিক নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার যুব, কৃষি, খাদ্য,

নারী ও শিশু কল্যাণ, বিপর্যয় মোকাবিলার মতো দফতরকে সতর্ক করেছে অর্থ দফতর।

Money Nabanna Finance Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy